ভোলায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষন, ৭ মাসের অন্তসত্তা

মোঃ ফরিদুল ইসলাম
ভোলা নিউজ-২২.০৭.১৮

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চরকালী ২নং ওয়ার্ডের দিন মজুর মোঃ ইউছুফ পলফান এর মেয়ে মারজান আক্তার (১৫) অস্টম শ্রেণির ছাত্রী গত ৮/১/১৮ ইং তারিখ রাশেদ পিতা: ফরিদ মারজানকে জনৈক রুস্তম আলীর বসত বাড়ীর বারান্দায় নিয়ে ধর্ষন করে। সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে ভিকটিমের মা সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বলেন, ভিকটিম আমার  একমাত্র মেয়ে । ফরিদ এর ছেলে রাশেদ আমার মেয়েকে অনেক দিন যাবৎ কু-প্রস্তাব দিয়ে থাকে। গত ৪ থেকে ৫ মাস আগে রাশেদের গার্ডিয়ানকে আমি বিষয়টি জানালে রাশেদের মা, রাশেদ ও  আমার মেয়ে ছোট বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। ২০ রমজান রাশেদ আমার ঘরে এসে মেয়ের হাতে ধরে নিয়ে যায় রাশেদের বাড়িতে। সেখানে নিয়ে বিয়ে করার নাম দিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষন করে। আমি মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে বিভিন্ন আত্নীয় স্বজনের নিকট খোজাখুজির অনেক পরে মেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। আমার কাছে এস রাশেদ যা করছে তার সকল কিছুই আমাকে খুলে বলে। আমি রাশেদের গার্ডিয়ানকে জানালে আমাকে তাদের বিয়ে করার বিষয়ে বলেন। এভাবে কয়েকদিন পর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন কথা আমার মেয়েকে। ৪/৫ দিন পর আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পরে। তাৎক্ষনিক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসক বলেন, মেয়ে ৭ মাসের অন্তসত্তা। তারপর বিষয়টি ভিকটিমের মা রাশেদ এর অভিভাবক জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয় নি। পরবর্তীতে  মা বাদি হয়ে রাশেদ এর বিরুদ্ধে ভোলা সদর সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। যাহার নং- ৩৪৩/৫৯। এ ব্যপারে ভেলুমিয়া ফাড়ির ইনচার্জ গোলাম মাওলার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভিকটিম বর্তমানে ৭ মাসের অন্তসত্তা। মামলাটি বর্তমানে চলমান আছে। সরেজমিনে গিয়ে আরো জানাযায়, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু পাটোয়ারী ও স্থানীয় কাজী আকবর হোসেন মামলার বাদীকে জিম্মি করে জোর পূর্বক মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। শাহিদা আরো জানান, আকবর হোসেন ঈদের ১ সপ্তাহ পরে ভিকটিমকে বিয়ের কথা বলে ৮ হাজার দাবী করে, আমি তাকে ৪ হাজার টাকা দেই। এ ব্যপারে স্থানীয় লোকজন আরো বলেন, আবু পাটোয়ারী ক্ষমতার দাপটে ভিকটিম ও তার পরিবার মামলা প্রত্যহার না করলে এলকা ছাড়া করবে । এ ব্যপারে স্থানীয় জনগন ও ভিকটিমের পরিবার প্রশাসনের  হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

SHARE