ভোলায় ভয়াবহ আগুন, চার বসতঘর পুড়ে ছাই

 

নিউজ ডেস্ক।।  ভোলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫ ঘরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে এতে ৪ টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পরিধানের কাপড় ছাড়া কোনোকিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি ৪ ঘরের পরিবারের।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভোলা সদর উপজেলার ৫নং বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড খলিফা বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা জানান, রোববার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ওই বাড়ির নুরুল ইসলাম খলিফার ঘরের বৈদ্যুতিক লাইন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে ৫টি ঘরে ছড়িয়ে পড়লে ৪ বসতভিটা সম্পূূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো হলো, মো. নুরুল ইসলাম পিতা সৈয়দ আহমেদ বিল্লাল, সৈয়দ আহমেদ
নান্নু মিয়া, পিতা সেকান্ত, স্বপন পিতা আবু তাহের ও মানিক পিতা শাজাহান।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা আরও জানান, মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যাওয়ার ফলে নিজ পড়নের কাপড় ছাড়া অন্য কোনোকিছুই আগুনের লেলিহান শিখা থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

খবর পেয়ে ভোলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ওই ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাৎক্ষণিক তিনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা হাতে তুলে দেন।

এসময় তিনি জানান, উক্ত ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলামকে অবগত করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হবে।

ভোলা ফায়ার সার্ভিস ইন্সপেক্টর মো. সুমন জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানানো হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এদিকে ঘটনার পর ভোলা সদর মডেল থানার (ওসি তদন্ত) মো. আরমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হবে।

SHARE