ভোলায় ভুয়া এনজিও, ৭’শ পরিবার প্রতারনার ফাঁদে, টাকা নিয়ে উধাও আলমগীর

আল-আমিন এম তাওহীদ-ভোলানিউজ.কম,

ভোলায় বেসরকারি রেজিস্ট্রেশন বিহীন ভুয়া ৭টি এনজিও খুলে এলাকার গরিব অসহায় ৭’শ পরিবারের কাছ থেকে কয়েক লাক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেলেন এলাকা ছেড়ে অভিযোগ ভুক্তভুগী পরিবারের। এঘটনায় জড়িত রয়েছে দুই প্রভাবশালী।
স্থানীয়সুত্রে জানাযায়, ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত লতিফ হাওলাদারের ছেলে মোঃ আলমগীর ৭টি সমিতি খুলেন। প্রতিটি সমিতিতে ১’শ জন সদস্য নেন। মোট ৭টি সমিতিতে ৭’শ সদস্য নেয়। প্রায় ৩বছর পরিচালনা করে ৭’শ পরিবারের কাছ থেকে অনেক টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পিছনে এলাকার দুইজন প্রভাবশালী রয়েছেন তাদের ছত্রাছায়ায় এই ভুয়া এনজিও খুলে প্রতারনা করে আলমগীর হাওলাদার।
ভুক্তভুগীরা অভিযোগ সুত্রে জানায়, মৃত লতিফ হাওলাদারের ছেলে আলমগীর ৭টি সমিতি খুলে ৭’শ জন সদস্য নিয়ে। প্রতিটি সমিতিতে ১’শ করে সদস্য নেয়। প্রত্যেক সদস্যর কাছ থেকে ১হাজার টাকা আদায় করেন ঋণ দিবে বলে। ৭’শ পরিবারের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। আমাদের গরিবের সাথে প্রতারনা করা টাকা দিয়ে আলমগীর তার ছেলেকে বিদেশেও পাঠিয়েছে। এই ভুয়া এনজিও আর প্রতারক আলমগীরের সাথে রয়েছে দুই সহদর। তাদের ছত্রছায়ায় থেকে অপকর্ম করছে। মোটা অংকের বিনিময় দুইজন মেম্বার হাতের মুঠোয় আলমগীরের। পরে আমরা এলাকার সবাই টাকার জন্য চাপ দিলে আলমগীর পালিয়ে যায়। মাঝে মধ্যে এসে মানুষের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে। শুধু এনজিও দিয়ে ক্ষ্যান্ত নয় আলমগীর, বিদেশে পাঠানো থেকেও হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। গরিবের টাকা দিয়ে নিজের ছেলে/মেয়েকে সািজিঁয়েছে ফুলের মতো। বিদেশে লোক নেয়ার নাম দিয়ে এই এলাকার ফখরুল আলম (লাভুর) কাছ থেকে ২লক্ষ টাকা নিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে।
প্রশাসনের চোখ ফাকিঁ দিয়েই বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে তৈরি করেছে এনজিও (সমিতি) মানুষকে প্রতারনার ফাদেঁ ফেলে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়া এদের মুল লক্ষ্য। ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে আলমগীরের প্রতারণার ফাদেঁ পড়লেন অনেক পরিবার। আলমগীরের ভুয়া এনজিও এর ফাদেঁ পা ফেললেন যারা- নাছির মাতব্বরের পরিবার থেকে ২০টি নামে ও ২০ সদস্য, জাহাঙ্গীর হাওলাদারের পরিবারের ৬১টি নামে, আব্দুর রহমানের পরিবারের ৩০টি নামে, মাসদি রানার পরিবারের ২০নামে, মোজাম্মেল পরিবারের ১০নামে, তাইজদ্দিনের পরিবারের ৫০নামে, আব্দুল খালেক পরিবারের ১০নামে, বশারের ১০ নামে, সত্তার চোকিদারের ৪ নামে, সাইফুল-১০নামে, ফরিদ -৪০নামে, মানিক -৫০ নামে, মিলন-৮ নামে, কাঞ্চন- ৩০নামে, রাব্বি-৫ নামে, আলম ৪ নাম,হিরণ ১০নামে, ইয়াসমিন ৩০নামে, নুরজাহান ৪নামে, ছালেহা ১৫নামে, মরিয়ম ৫নামেসহ এরা সবাই আলমগীরের প্রতারনার ফাদেঁ পড়ে প্রত্যেক নামে ঋণ নেয়ার জন্য ১হাজার টাকা করে জমা দিয়েছেন। অবশেষে সবার চোখে ধুলা আর মাটি দিয়ে ৩বছরের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেল প্রতারক আলমগীর।
অভিযুক্ত আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে, তার ব্যবহৃত ফোন নম্বর ০১৭৩৪-৪৩৭৪০১ এ একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি আলমগীরের সারা।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য মিলন মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কয়েকবার সালিশ করেছি। আলমগীর এনজিও খুলে অনেক টাকা পয়সা নিয়েছে এবং সে টাকা অনেক সদস্যকে ফেরত দেয়া হয়েছে। ও পালিয়ে যায়নি চট্রগ্রামে কাজে করছে।

এঘটনায় ভুক্তভুগীরা বলছেন ভিন্নসুর, ইউপি সদস্য মিলন মেম্বারের আশ্রয় আলমগীরের। এলাকাবাসির একটি প্রশাসনের কাছে দাবি তদন্তপুর্ববক প্রতারক আলমগীর ও তার সহদরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের।

(আল-এম, ২৬মে-২০১৮ইং)

 

SHARE