ভোলায় জমি নিয়ে বিরোধ, মসজিদে তালা ।।

লালমোহন (ভোলা) সংবাদদাতা :ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড চতলা গ্রামের আব্দুর রহমান ভূঁইয়া বাড়ীর দরজার প্রায় অর্ধশত বছর আগের নির্মিত জামে মসজিদে গত দেড় মাস যাবৎ আযান ও নামাজ পড়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে । সরেজমিন ও স্থানীয় মুসুল্লিদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড চতলা গ্রামের মৃত মোঃ সোনা মিয়া পিতা মৃত আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, কালা মিয়া, ওমর মিয়া উভয় পিতা মৃত গনি মিয়া গত ২০/১১/ ১৯৮০ ইং সনে চতলা মৌজার এসএ ৩১৮ নং খতিয়ানের ৩৪৩৯/৩৪২৮/৩৪২৬ দাগ ভূক্ত ৩২ শতাংশ জমি জামে মসজিদের নামে ছাপ কাওলা করে (দলিল) দেন। এবং দাতাগন মসজিদের নামে জমি দিয়ে ওই জমিতে একটি জামে মসজিদ নির্মাণ করে মসজিদের কমিটি গঠন করে উক্ত জমি মসজিদে বুঝিয়ে দিলে তা ভোগ করে আসছেন, এবং তখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত আযান ও নামাজ আদায় করে আসছেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা । কিন্তু দীর্ঘ ৪৩ বছর পর জমি দাতা মোঃ সোনা মিয়ার মৃত্যুর কয়েক বছর পর তার ছেলে মোঃ সায়েদুল হক ভূঁইয়া মসজিদের ভোগ দখলীয় জমি ও পুকুর দাবী করেন। এতে মসজিদের মুসুল্লিদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। উক্ত বিরোধের জের ধরে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রæয়ারী থেকে ওই মসজিদে আযান, নামাজ (জুমার নামাজ সহ) পড়া হয়না। বন্ধ রয়েছে ঐতিহ্য বাহী অর্ধশত বছরের জামে মসজিদটি। মসজিদে নামাজ না পড়ার ব্যাপারে কমিটির অর্থ সম্পাদক (ক্যাশিয়ার) মো. মহিব উল্যাহ ও স্থানীয় মুসুল্লি আনা উল্যাহ, আলা উদ্দিন, মো. কবির, মো. জাফর, মো. মুশফিক মঞ্জু মাষ্টার, মজিবুল হক, নুরুল হক, সিরাজুল হক,সেলিম, এন্তাজ মাঝি প্রমূক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে এ মসজিদে আমরা এলাকাবাসী ও মুসুল্লিরা নামাজ কালাম, ইবাদাতসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছি। কিন্তু ১০০% মুসলিম অর্ধষিত এলাকার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে যা মুসলমানদেও জন্য জঘণ্যতম । তারা আরও বলেন জমি দাতা সোনা মিয়ার ছেলে ছায়েদুল হক ভুঁইয়া হঠাৎ মসজিদের ভিটা ও পুকুর রেকর্ড করে এনে নিজের দাবী করতে থাকে, এমনকি মসজিদের এরিয়ার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি কওে দিয়েছে এবং পুকুরে ওযু করতে গেলে মুসুল্লিদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তাই আমরা এলাকাবাসী ও মুসুল্লিরা ধর্মীয় মাওলানা ও মুফতির নিকট মাসালা জানতে পারি যে কোন মালীকানা জমিতে নির্মিত মসজিদে নামাজ, জুমার নামাজ পড়লে তা হবেনা। তাই আমরা গত ফেব্রæয়ারী থেকে ওই মসজিদে আযান ও (৬ জুমার নামাজ সহ) নামাজ আদায় করছি না। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন বাবা ও চাচারা জমি দলিল করে দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করে দিয়ে দখল দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর এত বছরের মসজিদের জমি তার ছেলে দাবী করে (কাগজ তৈরি করে) এভাবে মসজিদের জমি দখলে নেওয়া বা দাবী করা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। উক্ত বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকায় ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয় অভিযুক্ত ছায়েদুল হক ভুঁইয়া বলেন, আমি ওই মসজিদে নামাজ পড়িনা । মসজিদের জমি দাবী ও দখল করিনি। আমার জমি আমি দাবী করছি, এবিষয় নিয়ে শালিস ও হয়েছে কয়েকবার। উক্ত বিষয়ে লালমোহন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই এলাকা থেকে আমাক ফোন করে অবগত করেছে বিষয়টি দুঃখজনক। তদন্ত পূর্বক উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE