ভোলায় গুলির নির্দেশ রুমীর, প্রত্যাহার কেন এসপি?

ক্রাইম ডেস্ক,ভোলা নিউজ ঃ
গুলির নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও রুমী। আর হুজুররা পদত্যাগ চাইলেন পুলিশ সুপারের!! ঘটনার ১ দিন আগে ভোলায় ৩০০ জঙ্গী সদস্য কেন আসলেন? ২০ তারিখের ঘটনার জন্য হুজুররা কেন ওসি আর পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার চাইলেন? অন্য কাউকে কেন দায়ী করলেন না? এমন প্রশ্নের উত্তর মেলাতে চেয়েছেন ভোলা নিউজ। বের করে এনেছেন বোরহানউদ্দিনের লোমহর্ষক ঘটনার খবরের ভেতরের খবর।

২০ তারিখের ঘটনার পর ২২ অক্টবর এন্টি ট্রেরিজমে কাজ করা বাংলাদেশের জঙ্গী দমনে সফলতার সহিত কাজ করে দেশকে বিশ্বের রোল মডেলে পরিনত করা ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এর ব্যাক্তিগত ফেইসবুক আইডি হ্যাক হওয়ায় জঙ্গী ও মাদক ব্যাবসায়ীদের ষড়যন্ত্র উম্মোচন হতে শুরু হয়। । আমাদের ভোলা নিউজের ক্রাইম রিপোর্টাররা জানান, ২০ অক্টবরের বোরহানউদ্দিনের ঘটনাও এসকল ষড়যন্ত্রেরর অংশ। কি হয়েছিলো সেই দিন বোরহানউদ্দিনে কেনই বা ঘটেছিলো ওই গুলির ঘটনা নিরীহ ছেলেদের কেন ই শহীদ হতে হলো। সকল প্রশ্নের সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করেছে ভোলা নিউজের ক্রাইম রিপোটাররা।

বিপ্লব ও ইমনকে বোরহানউদ্দিন থানায় আটকের পর পুলিশ সুপারের প্রতক্ষ্য তদারকিতে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী ১৯ তারিখ রাতেই পটুয়াখালিতে অভিযান চালিয়ে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শরিফ নামক এ ঘটনার অন্যতম হোতাকে গ্রেফতার করেন বোরহানউদ্দিন থানার এসআই মোঃ দেলোয়ার হোসেন। তা হলে পরের দিন ঘটা করে কেন এই আয়োজন ছিলো। হয়ত হুজুররা এই ঘটনা ওয়াকিবহল না থাকায় আয়োজন হতেই পারে। সেক্ষেত্রে ওই বিক্ষোভ জনসভার মঞ্চে গিয়ে ভোলার পুলিশ সুপার যখন মুসলিম নেতাদের মামলার তদন্ত ও অগ্রগতি সম্পর্কে বুঝিয়ে বলে তখন বাটামারার পীর সাহেব হুজুর সভা সমাপ্ত ঘোষণা করেন। সভা মঞ্চের মাইক থেকে নির্দেশনা মূলক ঘোষণা আসতে থাকে কোন কোন এলাকার মানুষ কোন দিক দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলে যাবেন। এসময় ভোলার পুলিশ সুপার ও এডিশনাল ডি আই জি সহ সবাই মঞ্চ থেকে নেমে আসছিলেন। এমন সময় একদল উত্তেজিত জনতা স্লোগান দিয়ে বিনা উস্কানিতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে, এত পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে মসজিদের দোতলার একটি রুমে ভোলার পুলিশ সুপার ও এডিশনাল ডিআইজিসহ কয়েকজন পুলিশ অফিসার আশ্রয় নেয়। এর পর পুলিশ সুপার নিচের ওয়াস রুমে এসে দোতলায় ফিরে শিড়ির মাঝা মাঝি আসার পরেই হঠাৎ করেই পুলিশ অফিসাররা আশ্রয় নেয়া ওই ঘরটি টার্গেটে পরিনত হয়ে যায়। সব কিছু রেখে পুলিশ সুপারকে দেখা মাত্রই ওই ঘরটিতেই কেন হামলা শুরু হলো। হুজুরদের টার্গেট যদি ওই হিন্দু বিপ্লবই হয়ে থাকে তাহলেতো তাদের টার্গেট হওয়ার কথা বোরহানউদ্দিন থানা। আর এই টার্গেট যদি থানা না হয়ে ওই মসজিদের দোতলা ঘরে আশ্রয় নেয়া পুলিশ সুপার–তখনি প্রশ্ন দেখা দেয় কেন এই হামলা? কেন এই টার্গেট? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর মেলাতে কাজ করে যাচ্ছেন ভোলা নিউজের ক্রাইম রিপোটাররা। ২০ অক্টবর সারাদিন কাজ করা রিপোর্টার মনজু ইসলাম জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হওয়া সভার পিছনের দিক থেকে যে গ্রুপটি মসজিদের দোতলায় হামলা করেছে তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। ওই দোতলার ঘরটিতে আশ্রয় নেয়াদের মধ্যে ছিলো এডিশনাল ডিআইজি, পুলিশ সুপার, ইউেনও, এডিশনাল এসপি, সদর সার্কেলসহ গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ অফিসাররা। এক পর্যায়ে হামলাকারিরা যখন খুচিয়ে খুচিয়ে ওই ঘরটি ভাঙ্গার শেষ পর্যায়ে তখন সিনিয়র অফিসারদের প্রাণ রক্ষায় গুলি করার নির্দেশ দেন বোরহানউদ্দিনের দায়িত্বরত ইউএনও হাবিবুর হাসান রুমী। তার লিখিত নির্দেশে পুলিশ গুলি ছুড়ে মসজিদের দোতলার ঘরে আটকা পরা অফিসারদের প্রাণে রক্ষা করেন। আর এ থেকে গোলা গুলির সূত্রপাতের কথাও জানিয়েছেন সবাই। তাহলে ইওএনও রুমীর প্রত্যাহার না চেয়ে পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার চাওয়ায় ধারনা করা হচ্ছে পুলিশ সুপারকে নিয়ে জঙ্গীদের প্রথম টার্গেট মিস হওয়ায় প্রত্যাহারের দ্বিতীয় টার্গেটে নেমেছেন ওই জঙ্গী গোষ্টি।

ঘটনার ১দিন আগে ঢাকা থেকে চরফ্যাশনের লঞ্চ ঘাটে একটি জঙ্গী সংঘঠনের ২৫০ থেকে ৩০০ জন দেনে ওয়ালা সদস্য নেমেছে। তারা ১৭ অক্টবর বৃহস্পতিবার ঢাকা সদর ঘাট থেক উঠে ১৮ অক্টবর শুক্রবার ভোর রাতে চরফ্যাশনের বেতুয়া এবং ঘোষের হাট লঞ্চ ঘাটে নেমে তাদের অস্তানায় চলে যায়। এক দিন আস্তানায় থেকে পরের দিন বিকেলেই বোরহানউদ্দিনের ক্লিং মিশনে অংশ নেয়ার কথা ধারণা করছেন অনেকে। বর্তমানে ভোলার পুলিশ সুপার ওই জঙ্গী সংঘঠনটি নিয়ে কাজ করার কারণেই ওই শত্তিশালী জঙ্গী সংঘঠনটি ভোলার পুলিশ সুপারকে টার্গেটে রেখে সকল প্রকার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

ওই জঙ্গী সংঘঠনের জান দেনে ওয়ালা সদস্য মোঃ আব্দুল গনি ৪ ও ৫ অক্টবর তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৭৭৫৮৫৫১২৫ থেকে ওই সংঘঠনের সাবেক সদস্যের ০১৭৮৩৯৮৪০৬০ নাম্বারের মোবাইল ফোনে ভোলার পুলিশ প্রশাসন যে তাদের বিরুদ্ধাচারণ করছেন তার প্রতিকারের জন্য তারা ভোলার জঙ্গী আস্তানায় একত্রিত হয়েছেন বলেও কথোপকথন করেছেন। এ সকল তথ্যের অনুসন্ধানে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে ভোলার হত্যা কান্ডের আসল রহস্য। এমনটি মনে করছেন ভোলা নিউজের ক্রাইম রিপোটাররা।

এদের সাথে ভোলার মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে সম্পর্কের কথাও জানিয়েছেন অনেকে। কোন গ্রুপটি কাজ করেছে তা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে।

ভোলার ক্রাইম বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোলা থেকে প্রতিদিন ফিশিং বোটের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক দক্ষিঞ্চলের প্রতিটি জেলায় রপ্তানি হতো। ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার যোগদেয়ার পর থেকে মাদককের সকল রুট বন্ধ হয়ে যায়, আর এ কারনেই দিন দিন ভোলার মাদকের স্কবারদের টার্গেটে পরিনত হন ভোলার বর্তমান পুলিশ সুপার।

জঙ্গী সংঘঠনের হোতা ও এই হামলায় নিরীহ মুসল্লিদের উস্কানি দাতাদের খুজে বের করলেই প্রকৃত রহস্য উম্মোচিত হবে বলে আশা করছেন ভোলার আলেম সমাজ ও সাধারণ মানুষ।

SHARE