ভোটের বছরে আ.লীগের ভারত সফর শনিবার

ডেস্ক অনলাইন/ ভোলারনিউজ.কম,

ভোটের বছরে আগামী ২২ এপ্রিল শনিবার আওয়ামী লীগের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফরে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রবিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কাযালয়ে সংবাদিকদের এ কথা জানান কাদের। তিনি জানান, ভারতে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির আমন্ত্রণে এই সফর হচ্ছে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ভোটের বছরে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্ব পাওয়া এই সফরটি সব মিলিয়ে হবে দুই দিনের। শনিবার রওয়ানা হয়ে সোমবারই দেশে ফিরবেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সফরকারী দলের নেতৃত্ব দেবেন ওবায়দুল কাদের।

গত জুনে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব দেশের আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলকে সে দেশ সফরের দাওয়াত পাঠান। সেই আমন্ত্রণে গত ১০ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত এই সফর হওয়ার কথা ছিল। তবে নানা কারণে সফরটি পিছিয়েছে।

চলতি বছরের শেষ দিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই দেখছে আওয়ামী লীগ।

গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের সহিংস আন্দোলন এবং বর্জনের মুখে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রভাবশালী বিভিন্ন দেশ যখন সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল, তখন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখার বিষয়ে অবস্থান নেয় ভারত, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ।

দশম সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এখনও বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে গতবারের মতোই আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপি না এলে ভোট হবে সংবিধান অনুযায়ী।

ভারত যাচ্ছেন এমন একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ঢাকাটাইমসকে জানান, এই সফরে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা, আগামী নিবার্চন, খালেদা জিয়ার দণ্ড ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কন্নোয়নের বিষয়টি সফরে গুরুত্ব পাবে। আগামী নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে বোঝাপড়া জরুরিও মনে করছেন ওই নেতা।

মার্চের শেষ প্রান্তিতে ভারত সফর করে এসেছেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদও। দলের পক্ষ থেকে এই সফরকে ব্যক্তিগত বলা হলেও তার কয়েকদিন আগেই অলি আহমেদের ৮০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা বাণী পাঠান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারত সফরে গিয়ে কী করবেন আওয়ামী লীগ নেতারা-এই প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘সেখানে পার্টি টু পার্টি আলোচনা হবে।’

এ সময় ওবায়দুল কাদের বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে সেলিব্রেশন (উদযাপন) কালারফুল (বর্ণিল), লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি নর-নারীর উপস্থিতি এবং গ্রাম পর্যায়ে পয়লা বৈশাখ উদযাপন হয়েছে।’

‘এ দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বিএনপিকে কটাক্ষ করে কোনো বক্তব্য রাখেননি। কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য তিনি দেননি।’ আমি নিজে বাহাদুর শাহ পার্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অপজিশনকে (প্রতিপক্ষ) আক্রমণ করে কোন বক্তব্য রাখানি। অথচ পহেলা বৈশাখের দিনেও বিএনপি নোংরা রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

‘এতো সুন্দর একটা পহেলা বৈশাখও তারা নোংরা রাজনীতির কাজে লাগিয়েছে।

‘দেশে বর্তমানে শান্তি আছে, স্থিতিশীলতা আছে। এটা বিএনপি সইতে পারছে না। তাই পহেলা বৈশাখের স্বতঃস্ফূর্ত, কালারফুল উদযাপনও তাদের ভাল লাগেনি।’

আন্দোলনে ‘ব্যর্থ’ হয়ে বিএনপি হতাশায় ডুবে আছে বলেও মনে করেন কাদের। বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি যে নতুন খোয়াব দেখেছিল- তা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মধ্যদিয়ে কর্পুরের মতো উড়ে গেছে, হারিয়ে গেছে।

তাদের (বিএনপি) আর কোন নতুন ইস্যু নেই। তাদের মাঠে নামা কোনো অবস্থানও নেই।’

(আল-আমিন এম তাওহীদ/ ১৫এপ্রিল/২০১৮ইং)

SHARE