বড় অসময়ে চলে গেলেন অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম

 

ইকরামুল আলমঃ
ভোলা নিউজ প্রধান সম্পাদকের মৃত্যুর ১৭ তম দিন আজ। গত ১০ জুন বুধবার পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে গেলেন।
সাংবাদিকতা করতে গিয়ে অনেক মানুষের মৃত্যুর সংবাদ লিখেছি। কিন্তু আপনার মৃত্যুর সংবাদটি লিখতে পারিনি। কারন মৃত্যুর ১৭ দিন পরও মানষিকভাবে স্থির হতে পারিনি। এ জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন।
২০০০ সালের কথা। আমার বড় বোনের বিয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের দু’জনের সম্পর্ক শালা-দুলাভাই। কিন্তু আমার জীবনে কখনও তাকে দুলাভাই বলে ডাকিনি। সব সময় রফিক ভাই বলেই ডাকতাম। মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেও ভাই বলেই জিজ্ঞেস করছিলাম রফিক ভাই এখন কেমন লাগে। উত্তরও দিয়েছিলেন। কিন্তু আর কোনো দিন উত্তর দিবেন না, এ কথা ভাবতেই কষ্ট হয়।
৪২ বছরের ছোট্ট জীবনে একটি বিদ্যালয়কে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায় থেকে শুরু করে স্কুল এন্ড কলেজে উন্নিত করেছেন। ভোলা মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি নামে একটি প্রাইভেট মেডিকেল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন। শিক্ষা জাতীয়করনের আন্দোলনে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের দাবি আদায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আরো অসংখ্য সফলতা আছে তার জীবনে। একজন সফল মানুষ হিসেবে সকল গুনই তার মধ্যে বিদ্যমান ছিলো।
মানুষের উপকারে সব সময়ই ঝাপিয়ে পড়া এক জন লোক ছিলেন তিনি। হয়তো বা মহান আল্লাহ তাকে অল্প সময়ে নিয়ে যাবেন এজন্যই তাকে দিয়ে এত কাজ করিয়েছেন।
সকলের কাছে অনুরোধ তার কথায় কখনও কোনো কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন। সকলে তার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেনো তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।

SHARE