বিলীন হচ্ছে চরফ্যাশনের ঢালচর, বিপাকে বাসিন্দারা

 

ফারহান-উর-রহমান সময়ঃ

চরফ্যাশন উপজেলার বিছিন্ন ঢালচর ইউনিয়ন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মেঘনার প্রবল ভাঙনে প্রায় বিলীনের পথে। প্রবল নদী ভাঙ্গনের কারণে ঢালচরের মানুষগুলো ৭-৮ বার করে বসতভিটা পরিবর্তন করে মেঘনার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি। ভিটাবাড়ি সব হারিয়ে ঢালচরের মানুষ এখন চরম অসহায় এবং মানবেতর জীবনযাপন করছে। ঢালচররে শতকরা ৮০% মানুষ দারির্দ্যসীমার নিচে বসবাস করে। নদী ভাঙ্গন কবলিত ঘরবাড়ি হারানো অসহায় মানুষগুলো তাদের জরাজীর্ণ ঘরগুলো তারুয়ার খাস জমিতে তুলেছে। কিন্তু ঢালচর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন ঘরগুলো ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য। ভাঙ্গন কবলিত মানুষগুলো এখন চরম আতঙ্ক ও মানবেতর জীবনযাপন করছে।

সরজমিনে জানা গেছে, ভোলা জেলাধীন চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার অন্তর্গত ঢালচর ইউনিয়নটি ১৭৫০০ জনসংখ্যা নিয়ে ২০১০ সালে সাবেক মাননীয় উপমন্ত্রী ও বর্তমান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি প্রতিষ্ঠা করেন। কয়েক বছর যাবত মেঘনার ভয়াল ভাঙ্গনে ঢালচর ইউনিয়নটি নদী গর্বে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে শত শত পরিবার ভিটাবাড়ি হারিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে। এদের নদী ভাঙ্গন কবলিত ঘরবাড়ি হারানো অসহায় মানুষগুলো বাচার তাগিদে তাদের জরাজীর্ণ ঘরগুলো তারুয়ার খাস জমিতে তুলেছে। কিন্তু ঢালচর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য। এখন এই ঘরগুলো ভেঙে দিলে এই অসহায় মানুষগুলো কোথায় যাবে, কোথায় থাকবে এই দুচিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ঢালচরের বাহিরে কোথাও যেতে পারছেনা তারা।

ঢালচরের ৯৫% মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মৎস্য ব্যবসার সাথে জড়িত। ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা চলার কারণে ঢালচরের প্রায় সকল মানুষের আয় রোজগার বন্ধ। ঢালচরের নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষগুলো এখন চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।

ঢালচর ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন রোধ এবং তাড়–য়ার ফাঁকা পরে থাকা হাজার হাজার একর জমি নদীভাঙ্গা মানুষকে হস্তান্তরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি ও জেলা প্রশাসকের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

SHARE