বগুড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির ৩১৪টি বন্যপাখি উদ্ধারসহ অবমুক্তকরণ, ব্যবসায়ীর ৬ মাস কারাদণ্ড।।

 

শাহজাহান আলীঃ বগুড়া জেলা প্রতিনিধি।।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণ ও বেচা- কেনার অভিযোগে আতোয়ার আলী (৫২) নামের এক ব্যবসায়ীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবারে বগুড়া ডিবি পুলিশের অভিযানে রাত পৌনে ৯টার দিকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলাধীন ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আতোয়ার আলীর নিজ বাড়ি থেকে ৩১৪ টি বন্যপাখি উদ্ধারসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আতোয়ার আলী দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত-ওছিমুদ্দিনের ছেলে। উদ্ধার হওয়া বন্যপাখি গুলো ডাক বাংলাতে অবমুক্ত করা হয়।০২ আগস্ট( মঙ্গলবার) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে দুপচাঁচিয়া থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।এ সময় রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহমেদ নিয়ামুর রহমান,দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী,আদমদীঘি (সার্কেল) এর সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ,বগুড়া ডিবির (ওসি) মোঃ,সাইহান ওলিউল্লাহ এবং দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।পুলিশ সুপার জানান,বগুড়া ডিবি পুলিশের অভিযানে সোমবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আতোয়ারকে তার নিজ বাড়ি থেকে ৩১৪ টি বন্যপাখিসহ গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামী আতোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হরেক রকম প্রজাতির বন্যপাখি আটক করে বাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। তার বাড়ি থেকে ৩১৪ টি উদ্ধার হওয়া পাখির মধ্যে ফুলমাথা টিয়া ১৪০ টি, লালমাথার টিয়া ৪০টি, তিল মুনিয়া পাখি ৫০টি এবং ৮৪টি চাঁদি ঠোট মুনিয়া পাখি রয়েছে।পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী আতোয়ারকে বন্যপাখি কেনা-বেচা ও সংরক্ষণ বন্যপ্রাণী ( সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুয়ায়ী তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড প্রদান করেন।পুলিশ সুপার আরও জানান, বন্যপাখি যেন বিলুপ্ত না হয় সেই লক্ষে জেলা পুলিশ বগুড়ায় এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে এবং বন্যপাখি ক্রয়- বিক্রয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

SHARE