চরফ্যাশনে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র, দুর্ণীতি দমন কমিশনের ডিআইজি গ্রেপ্তার!

চরফ্যাশন প্রতিনিধি,

অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্র দুর্ণীতি দমন কমিশনের ডিআইজি পরিচয়দানকারী ২টি হত্যা মামলাসহ ৬ মামলার পলাতক আসামী আশরাফুল রহমান দিপুকে গতকাল রোববার দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ পরে মাদকদ্রব্য আইনে আদালতে সোর্পদ করেছে থানা পুলিশ।

থানাসুত্রে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানা ১৫ নং নজরুল নগর ইউনয়নের বাবুর হাট নামক এলাকা থেকে ইয়াবা সহ শনিবার বিকেলে আশরাফুল রহমান দিপু (২১) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঢাকার টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও পটুয়াখালী জেলায় ২টি হত্যা সহ প্রতারণার অভিযোগে ৬টি মামলা রয়েছে। পুলিশ আরো জানান, দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুম তালুকদারের সাথে সখ্যতা থাকায় দিপু অন্য অফিসারদের সাথে খারাপ আচরন সহ তুই তুমি শব্দে সম্বোধন করত।

গ্রেপ্তারকৃত দিপুর পিতা ছাগল পালনকারী আবদুল জলিল ওরফে মতু ফকির জানান, তার ছেলে দিপু অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেছে। তিনি এক সেনা কর্মকর্তার বাসায় কাজ করার সুবাদে দিপু সেখানে আসা যাওয়া করত। এক সময় উক্ত কর্মকর্তা সহ দিপু মামলার আসামী হয়। ইয়াবা সহ গ্রেপ্তারের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি ষড়যন্ত্র।

উল্লেখ্য যে, ডিআইজি পরিচয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে ২০১৪ সালে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় পার পেয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, তার সাথে থানা পুলিশের সাথে ছিল বন্ধুত্ব। ওসি সহ দারোগা তার কথায় ওঠাবসা করে। দিপু কখনো নিজেকে সেনাকর্মকর্তার ছোট ভাই, আইজি’র আতœীয় পরিচয় দিয়ে পুলিশের নিকট থেকে বিভিন্ন মামলার তদবির করে আসছিল। জেলার বাহিরে ডিআইজি পরিচয়ে চলাফেরা করত। সম্প্রতি একটি ধর্ষণ মামলার রফাদফা করে সে। এছাড়া পুলিশের ভ্যান থেকে গ্রেপ্তারকৃত আসামী রেখে দেওয়ার ও ঘটনা রয়েছে।

দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মাসুম তালুকদার জানান, দিপুর বিরুদ্ধে মামলা থাকলে ও বর্তমানে জামিনে আছে।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ৪ নভেম্ববর-২০১৮ইং)

SHARE