আমাদের ভোলার মা এর সম্মানের ফেরিওয়ালা

আরিফুর রহমানঃ
অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান। একজন শিক্ষাবিদ কিম্বা একজন সাংবাদিক নেতা হিসেবে তাকে পরিচিত করতে গেলে চরম কৃপনতা হবে। তিনি ভোলা সদর উত্তরের অবহেলিত অঞ্চলের শিক্ষার বাতিঘর। যে অন্ধকার অঞ্চলের শিক্ষার বাতি জ্বালানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফলও হয়েছেন। আমাদের ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ভোলা জেলা ইত্তেফাক প্রতিনিধি গত একযুগ ধরে পুরুষ শাসিত সমাজে মা এর সম্মান কুড়ানোর ফেরি করে বেড়াচ্ছেন আমাদের ভোলার সকলের প্রিয় এ মানুষটি। তার এই শ্লোগানটি বাংলাদেশ পেরিয়ে দেশের বাহিরেও উচ্চারিত হচ্ছে। তাঁর ফেইসবুকে মা নিয়ে দেয়া এই স্টাটাসটি ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরলাম।……

আপনিও বলুন,
“অামার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী”
এটি শুরুর কথা হলেও গোড়ার কথাটা একটু বলি।
২০০৬ সালের ৬ মার্চ উত্তর বাংলার একটি সংবাদপত্রে দেখলাম পাষন্ড সন্তান তার মা’কে বেদম ভাবে প্রহার করে রাস্তার উপরে ফেলে রেখেছে! এলাকাবাসি ঐ বৃদ্ধা মা’কে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং দূর্বৃত্ত ছেলেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে৷ পত্রিকার পরের সংখ্যাটি না পাওয়ার কারনে অামি অার জানতে পারলাম না যে মহিলা বেঁচে অাছেন কি নেই!

বিষয়টি পড়ে অামি একেবারেই অার অামার মধ্যে ছিলাম না৷ এতোটাই ব্যথিত হয়েছিলাম।
সমস্ত রাত নির্ঘুম কাটিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিলাম “অামার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ট নারী” কথাটিকে একটি স্লোগান হিসাবে প্রচার করবো৷ কেননা অামার মতো ছা-পোষা দরিদ্র শিক্ষকের পক্ষে বড় অাকারের কোন কিছু করা সম্ভব নয়। তাবৎ পৃথিবীর সন্তানেরা অান্তরিক ভাবে মন প্রান দিয়ে যদি বিশ্বাস করে তাকে যিনি জন্ম দিয়েছেন সেই পৃথিবীর শ্রেষ্ট নারী। এই জন্য যে কতো কষ্ট ক্লেস কতো লাঞ্ছন, কতো গণজনা বয়ে গেছে তার উপর দিয়ে তা কেবল তিনিই জানেন। জগৎ সংসারের প্রতিটি মা’ই ১০মাস ১০ দিন এই সন্তানকে পেটে ধারন করেছেন। এবং জন্মের পর থেকেই অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে সন্তাকে বড় করে তুলেছেন। কাজেই সেই মা’ই তো পৃথিবীর শ্রেষ্ট নারী৷

অামি এই স্লোগানটি ২০০৬ থেকে অাজ অবধি প্রচার করে যাচ্ছি…

SHARE