আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার প্রাণ কেন্দ্রে বহুতল ভবন নির্মাণ

আল-আমিন এম তাওহীদ-ভোলানিউজ.কম,

ভোলা শহরের চকবাজার এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মানের প্রতিবাদে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সম্পত্তির প্রকৃত মালিকগন।
৩১মে (বৃহস্পতিবার) সাড়ে ১১টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ভুক্তভুগী এসএম বাহাউদ্দিন লিখিত অভিযোগে বলেন,সাবেক বাখরগঞ্জ জেলার ভোলা পৌরসভার চরজংলা মৌজার পিএস- ৩২৭খতিয়ানের পিএস ১২৮/১৩৫/১৩২ দাগে (চকবাজার মনোহরি) আমাদের ক্রম ওয়ারিশ সূত্রে .০৬৭৫ শতাংশ রাস্তাবাদে সাড়ে ৬ শতাংশ ভুমিতে মালিক দলকার আছি। আাদের ৬টি টিনের ঘর ছিল যা দীর্ঘ অনেক বছর যাবত ভাড়া প্রদান করি। এক পর্যায় ভাড়াটিয়াগন ঘর ভাড়া নিয়ে তালবাহানা শুরু করে।কিছুদিন যেতে না যেতেই আমাদের সম্পত্তিতে নির্মিত দোকানঘর জ্বাল জালিয়াতি ও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে দখল করিতে থাকে। পরে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা আনয়ন করি, যাহার মামলা নম্বর- ১৩২/০৪ মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। গত ২৮এপ্রিল শহরের চকবাজার মনোহরি পট্রিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আমাদের ৪টি দোকানঘর আগুনে পুড়ে যায়। ওই জায়গা খালি পেয়ে বিবাদীর পক্ষে আবুল কালাম,চুন্ন মিয়া, সেন্টু মিয়া, আব্দুল জলিলম নান্টু, লিটন, পাপ্পুগংরা অরাতের অন্ধকারে বহুতল ভবন নির্মানের কাজ শুরু করে। কিন্তু এসব দখলবাজরা আদালতের আইন অমান্য করে বৃদ্ধাংগুল দেখিয়ে ভবন নির্মানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ভুমিতে নির্বিঘেœ দোকানঘর নির্মাণ করে স্বাভাবিক জীবন=যাপন করতে পারি এবং জান-মালের নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত থাকতে পারি এতটুকু কামনা। উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল গভির রাতে ভোলা শহরের চক াজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শতাধিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গিয়ে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।একমাস অতিবাহিত হলেও অগ্নিকান্ডের কারণ ও প্রকৃত আর্থিক ক্ষতি কত তা এখনও নিরুপন করেনি সরকারি বে-সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান। এ অগ্নিকান্ডে ভোলার প্রতিটি মানুষই ক্ষতিগ্রস্তদের সহানুভুতি জানিয়েছে। অনেকেই সাধ্যমত সহযোগীতা করেছেন। ভোলা পৌরসভা বিনামুল্যে প্ল্যান পাস করার ঘোষনা দিয়েছে। কিন্তু দখলবাজ ভুমিদস্যুরা সরকার তথা মানুষের সহানুভুতির সুযোগ নিয়ে এখন আগুন খেলা খেলছে। এখানে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই জমির মালিক নন ভাড়াটিয়া। কিন্তু তাঁরা কোন কিছুর পরোয়া না করে নিজেদের ইচেছমত দোকানপাট তৈরি করছেন। মানছেননা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা। নিচ্ছেন না যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। পিএস- ৩২৭ খতিয়ানের ১২৮/৩৫/৩২ দাগের উত্তোরাধিকার সূত্রে মালিক পক্ষের এসএম বাহাউদ্দিন জানান, উল্লেখিত খতিয়ান ও দাগে তাদের সারে ৬ শতক জমি রয়েছে কিন্তু তাদের এক সময়ের ভাড়াটিয়ারা সেখানে জোর জবরদস্তি দোকান ঘর নির্মাণ করছে। এসব বন্ধ করার জন্য তারা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন।নগর পরিকল্পনাবীদদের অভিমত যেহেতু পুরে গিয়ে জমিটি এখন উন্মুক্ত তাই এখানে যা কিছুই র্নিমাণ করা হোক সেটি হতে হবে পরিকল্পিত। এটিকে বস্তি বা ঘিঞ্জি বাজার বানিয়ে ফেললে দেখতে যেমন অসুন্দর হবে তেমনি ভবিষ্যতে অগ্নিকান্ডের মত বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যাবে। দখলবাজরা সাধারনত বিধিনিষেধ মানতে চাননা। জমির মালিকরাই করুক আর যেই করুক সহানুভুতি থাকবে তবে আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে কাউকেই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করতে দেয়া ঠিক হবে না। এতে করে এ অবৈধ ভাবে নির্মিত এ ঝুকি পূর্ন ইমারত ভেঙ্গে ভোলার চক বাজারসহ ঘোষপট্রির ব্যাবসায়ীরা ফের ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলেই মনে করছেন ভোলার সচেতন মহল।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ৩১মে-২০১৮ইং)

SHARE