সাংবাদিকদের ওপর হামলা: যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক-ভোলানিউজ.কম,

ঝিগাতলায় সাংবাদিকদের ওপর যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক। এ ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে আমি ব্যথিত এবং মর্মাহত। সাংবাদিকরা জীবনকে বাজি রেখে কাজ করে। এটা আমার ছাত্র জীবন থেকে দেখেছি। ১৯৬৯ এ গণঅভ্যুত্থানের সময়তো এত সাংবাদিক ছিল না। তখন অনেক বরেণ্য সাংবাদিকেরা ছিলেন। যারা বয়সে আমাদের থেকে বড় ছিলেন। আমাদেরকে আদর করতেন, কাছে টেনে নিতেন, মাওলা ভাই, লাল ভাই, সিরাজউদ্দিন ভাই, শহীদুল্লাহ কায়সার ভাই আমাদেরকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিতেন। তাদের সাথে আমাদের পূর্ণ যোগাযোগ ছিল।

রবিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জু এর সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, `ঝিগাতলায় সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিল। আমি মনে করি যে, সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বলেছেন, তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমিও বলছি, যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত, সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কার্যালয়, এটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে, একটা জাতীয় রাজনৈতিক দল, বিশেষকরে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দলের অফিসে আক্রমণ হয়েছে। ঝিগাতলায় তো তেমন কিছু ছিল না। ঝিগাতলায় মিছিলটা আসছে কেন? মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফেসবুক, ইউটিউব দিয়ে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে, আপনারা এগুলো সবই জানেন। কিন্তু সাংবাদিকরা নিরীহ, নিরপরাধ। তারা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছে। সুতরাং এ ব্যাপারে আমি বিশ্বাসী, যারা এ ঘটিনা ঘটিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই বের করতেই হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকমহলও ঐক্যবদ্ধ, দ্বিমত নেই, আমরাও ঐক্যবদ্ধ। কারণ এ ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে না।’

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১২আগস্ট-২০১৮ইং)

SHARE