মাসুদ রানা, বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিনে ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীকে দালাল ইয়ানুরের সহয়তায় আটকিয়ে রেখে পালাক্রমে সপ্তাহ ব্যাপী ধর্ষন করে ট্রাক ড্রাইভার দুলাল। এই ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার গ্রামের মাতব্বর ও চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার বিচার চেয়েও কোন প্রতিকার পাননি। ২৭ নভেম্বর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে ভিকটিমের ৭ মাসের অন্তঃসত্বার খবরে মা হার্ট এ্যাটাক করলে পরিবারের সদস্যরা ভোল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে গতকাল ২৮ নভেম্বর ভিকটিমের মা নাজমা বেগম মারা যান।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সফিজল হকের মেয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী কে দুলাল নামের এক ট্রাকের ড্রাইভার কর্তৃক ধর্ষণের দরুন সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। ২৮ শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে এ ঘটনা জানা যায়।
সাফিজলের স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০)মেয়ের অন্তঃসত্বার খবর শুনে হার্ট এ্যটার্ক করে ভোলা সদর হাসপাতালে মারা যায়। এমন অভিযোগ করে সাফিজলের পরিবার বলেন, তাদের প্রতিবেশী ইয়ানুর বেগম ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়েকে একটি ঘরে আটকে রেখে ট্রাক ড্রাইবার দুলালকে দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষনের ঘটনা ঘটিয়েছে, এরা একাধিকবার চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতাদের কাছে বিচার চাইলে তারা কোন প্রকার প্রতিকার না করে উল্টো আমাদের চুপ থাকার জন্য ভয় দেখান। আমরা ভয়ে চুপ থাকলেও আমাদের বাচ্চা মেয়ের শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ২৭ নভেম্বর ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরিক্ষা করে ৭ মাসের গর্ভবতী বলার সাথে সাথে মা নাজমা বেগম হার্ট এ্যটাক করেন,পরে ভোলা সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এদিকে ধর্ষক দুলালকে গত কাল ২৮ নভেম্বর দিবাগত রাতে লালামোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবির গ্রেফতার করলেও ধর্ষণে সহয়তা করা বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আজিজুল এর স্ত্রী ইয়ানুর আজ দু’দিন ধরে পলাতক রয়েছেন।
এই বিষয়ে এ্যাডিশনাল এসপি লালমোহনের সার্কেল মোঃ রাসেলুর রহমান বলেন আমি বোরহাউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হকের সাথে কথা বলে দ্রুত ধর্ষক কে আইনের আওতায় আনার জন্য বলেছি।
ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, ধর্ষকের সহযোগী মহিলা ইয়ানুর বেগম পালিয়ে গেলেও তাৎক্ষনিকভাবে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ধর্ষক দুলালকে লালমোহন থানা পুলিশ আটক করে।
ধর্ষক দুলালের বাড়ি লালমোহনে হওয়ায় এখন লালমোহন থানার আওতায় আছে। ঘটনাস্থল বোরহানউদ্দিন হওয়ায় আমরা ধর্ষককে বোরহাউদ্দিন থানায় হস্তান্তর করবো।
এই বিষয়ে বোরহাউদ্দিন থানার ওসি মোঃ এনামুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ধর্ষক দুলাল এখন থানা হেফাজতে রয়েছে। ধর্ষকের সহযোগী ইয়ানুর বেগম কে আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।