মন্জু ইসলামঃ
ভোলা নিউজ-২২.১০.১৮
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তি করায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে এবার ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পঞ্চাশ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ভোলা জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও নারী নেত্রী খাদিজা আক্তার স্বপ্না বাদি হয়ে মামলাটি করেন। দায়িত্বরত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ মো. ছানাউল হক কোন প্রকার ওয়ারেন্ট ও সমন না দিয়ে মামলাটি জুডিসিয়াল তদন্তের আদেশ দেন।
মামলাটি দায়েরে সার্বিক সহয়তা করেন ভোলার প্রতিবাদি বিবেক জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক সফিকুল ইসলাস,সফি।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। এ সময় মইনুলের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব আপনি করছেন কি-না?’ এর জবাবে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি ‘চরিত্রহীন’ বলে আমি মনে করতে চাই।’
তার এ কটূক্তি মানহানিকর। যা টেলিভিশন লাইভে সমগ্র নারী জাতীকেই সম্মানহানি করেছে। তাই মামলাটিতে পঞ্চাশ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
বাদী খাদিজা আক্তার স্বপ্নার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি শোয়েব হোসেন মামুন, সিনিয়র আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম, নারী-শিশু পিপি গোলাম মোর্শেদ কিরণ তালুকদার, এপিপি মেজবাহুল আলম ও অ্যাডবোকেট ফিরোজ শাহ।
মামলার বাদী খাদিজা আক্তার স্বপ্না জানান, একাত্তর টেলিভিশনে ব্যারিস্টার মইনুল নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলে যে গালি দিয়েছেন আমি মনে করি সমগ্র নারীদের জন্য এটা অপমানকর ব্যাপার। এ রকম ঘটনা যেনো ভবিষ্যতে আর না হয় এ জন্য আমি সংক্ষুব্দ হয়ে মামলাটি করেছি।
এ.পি.পি. শোয়েব হোসেন মামুন জানান, আমরা চেয়েছিলাম এ মামলায় যাতে আসামীর ওয়ারেন্ট হয়। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত মনে করেছেন মামলাটি জুডিসিয়াল তদন্ত হয়ে আসুক, তার পর ব্যবস্থা নিবে। আমরা আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেখা যাক আগামী ২৫ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য তারিখে কি হয়। আশা করি আমরা সুবিচার পাবো।