অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
আওয়ামী লীগ সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’ দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘সংবিধানের প্রতি আপনারা এত শ্রদ্ধাশীল যখন. তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের সময় সংবিধানের প্রতি এই শ্রদ্ধা কোথায় ছিল?।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার, বাকস্বাধীনতা এবং বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জনসভা থেকে বিএনপির দেয়া সাত দফা দাবির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংবিধানের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল, পবিত্র সংবিধান সংশোধনের সুযোগ নেই।’ এমন বক্তব্যের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রাখেন নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যখনই বলা হচ্ছে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তখনই তারা বলছেন এটা অবাস্তব, অযৌক্তিক দাবি।’
সরকারি দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ’৯৬ সালের নির্বাচনে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছিলেন কোন যুক্তির ভিত্তিতে? এখন জনগণ বুঝতে পেরেছে আপনাদের অবস্থা। কারণ আমাদের সেনাবাহিনী ট্রাফিক কন্ট্রোলে কাজ করতে পারে, দুর্যোগের সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারে, কিন্তু নির্বাচনের সময় নামতে পারবে না। এটা কিসের জন্য সেটা তো জনগণ বোঝে। কারণ আপনারা তো ভোট ডাকাতি করতে পারবেন না, সে জন্যই এতো অযৌক্তিক কথাই বলছেন।’
সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে নজরুল বলেন, ‘আমরা যারা রাজনীতি করি, সবাই দেশকে ভালোবাসি। আমরা দেশের কল্যাণ চাই, শান্তি চাই, সমৃদ্ধি চাই। জনগণ আমাদেরকে শ্রদ্ধা করুক, সম্মান করুক, যেন ভয় না পায় সেরকম একটা রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য আলোচনায় বসি, কথা বলি। কথা বলে একটা সর্বসম্মত সমঝোতার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করি। সেই নির্বাচনে যদি জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় তাহলে তারাই সরকার গঠন করবে, আর যদি জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে তা মেনে নিতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে পরের নির্বাচনের জন্য।’
জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে ও মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি ও বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ৩অক্টোবর-২০১৮ইং)