অন লাইন ডেস্ক- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৪ ঠা মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী, শাহ আমানত ও শাহজালাল হলের সামনে বিবাদমান দুটি পক্ষ কনকর্ড- সিক্সটি নাইন এবং বিজয় গ্রুপ এর মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে। প্রতক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে বিজয় গ্রুপ এবং শাহ জালাল হলের সামনে কনকর্ড গ্রুপ অবস্থান নেয়। পরে তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা- ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় বিজয়কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে কনকর্ড গ্রুপের এক কর্মী আহত হলে গ্রুপের অনুসারীরা তাকে শাহ জালাল হলের ভিতরে নিয়ে যায়। এই সুযোগে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা কনকর্ডের কর্মীদের উপর হামলা করে শাহ জালাল হলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এসময় সিটি মেয়র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী সিক্সটি নাইনের কর্মীরা কনকর্ডের সাথে যুক্ত হয়ে বিজয়ের কর্মীদের ধাওয়া করে। এই সময় দুটি পক্ষই দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
ঘটনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও কিছুসময় পর পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠে। সংঘর্ষের বিষয়ে চবি প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, বারবার শান্ত থাকতে বলা হলেও তারা সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রদক্ষেপ নিব। সিক্সটি নাইনের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, বিজয়ের নেতা ইলিয়াছ ও বিজয়ের আরেক নেতা জাহেদুল আউয়ালের নির্দেশে ও এক সহকারী প্রক্টরের ইন্ধনে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বারবার হামলা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিজয়ের নেতা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদতে আমাদের এক কর্মীকে সিক্সটি নাইন ও কনকর্ডের নেতা-কর্মীরা মারধর করে। আর ইকবাল হোসেনের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার অযোগ্য। কারণ তাঁর নির্দেশেই এসব সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটছে। তাই ইকবালকে এ পদ থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানান তিনি।