লালমোহন থেকে তপতী সরকার। ।
বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ৮ মার্চ ২০২০ থেকে কোচিং প্রাইভেট সহ সবধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি নষ্ট হচ্ছে মনোযোগ। এমতাবস্থায় সরকার উদ্যোগ নিয়েছেন অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা।
সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রতি বিভাগে চালু হয়েছে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও নিজ উদ্যোগে এ কার্যক্রম চালু করেছেন। বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে অনলাইন ভিত্তিক লেখাপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কতটা সুফল বয়ে আনবে প্রশ্ন অনেকেরই।
তবে অনেক শিক্ষককে এখনও অনলাইনমুখী করাযাচ্ছেনা। তাদেরকে ক্লাস ভিডিওর কথা বললে বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
কতিপয় শিক্ষার্থীর সাথে আলাপনে বুঝা যায় অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস বর্তমানে সারকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ পদক্ষপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী এখন ঘরমুখী। তাদের মতে, আমরা আমাদের পছন্দনীয় এবং মানসম্মত ক্লাস পেলে আমাদেরকে বাইরে যেতে হবেনা। কারণ আমরা বাইরে বের হলে আমাদের অভিভাবকগণ আমাদের জন্য উদ্বিগ্ন থাকেন। তাই আমাদের অনুরোধ থাকবে অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস কার্যক্রম মানসম্মত শিক্ষকদ্বারা পরিচালনা করা।
প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অভিভাবকদের সাথে আলাপনে তারা জানান আমরা গ্রামে থাকি ঠিকমত মোবাইলে কথাবলতে পারিনা নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে, সখানে আবার অনলাইন ক্লাস। শহরাঞ্চলের অভিভাবকদের বক্তব্য অনলাইন ভিত্তিক পড়াশোনা একটি ভাল উদ্যোগ। ছেলেমেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর থেকে পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আমারা অভিভাবকরাও বিপাকে পড়ে যাই। ঠিক এ মুহুর্তেই অনলাইন ক্লাস। সাধুবাদ জানাই এ উদ্যোগকে। তবে নেট সমস্যার কারণে অনেক বিঘ্ন ঘটে আর নেট খরচও আমাদের আয়ত্তে বাইরে চলে যায়।এছাড়া মানসম্মত শিক্ষাকদের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালা করলে উপকৃত বেশী হবো।তবে অনলাইন ভিত্তিক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাদের মতে বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক লেখাপড়া বেশ জমে উঠেছে। তবে নেট বিল কমালে হয়তো এর চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ অনেক অসহায় ও গরীব শিক্ষার্থীদের পক্ষে কোনভাবেই অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস সম্ভব নয়। তাই সরকারকে নেট বিল কমানোর উদ্যোগ নিয়ে অসহায় ও গরীব শিক্ষার্থীদের এ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা।