মজনু ও যেন কে…?

সম্পাদকের কথাঃ

মজনু ও যেন কে?
কথাটি বলে ছিলেন ভোলার মানুষের প্রিয় মানুষ জননেতা তোফায়েল আহমেদ। সময়কাল ঠিক মনে নেই তবে ৯১ এর নির্বাচন এবং নজরুল স্যারের মৃত্যুর পর এটা নিশ্চিৎ মনে আছে। কারণ তখন আমিও সেভেন এইটে পড়ি। বিকেল বেলা আমি ও আমারা কয়েকজন বন্ধু মিলে ইলিশা চডার মাথার লঞ্চ ঘাটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। লঞ্চ ঘাটটি ছিলো চডার মাথা একটু পশ্চিম পাসে। সেখানে লালী সান্দ্রা ও সাগরকন্যা ময়ুরপঙ্খী নামের লঞ্চ গুলো ভীড়তো। ঠিক সন্ধায় লঞ্চ গুলো ঘাট ত্যাগ করতো।কখনো সন্ধার পর ছাড়তো। তোফায়েল আহমেদ তখন এমপি। এমপি মানে অনেক কিছু। এখনতো বিনাভোটে এমপি হয়ে এমপি শব্দটির গুরুত্ব অনেক কমে গেছে। তোফায়েল আহমেদকে এগিয়ে দিতে অনেকেই এসেছিলেন বেশি মানুষকে চিনতামনা তবে মজনু মোল্লাহ ও টুলু ভাইকে চিনতাম। তোফায়েল ভাইকে দেখতে আমি ও আমার বন্ধুরা একটু এগিয়ে গেলে পারিবারিক পরিচয়ে তোফায়েল ভাই আমাকে আদর করে পাসে নিয়ে কিছু বলতে চাওয়ার সাথে সাথে একটি এইচ হান্ড্রেড মোটর বাইকে দু’জন আরোহী আসলেন তাদের একজন সম্ভবত পাঞ্জাবী পরা চিকন চাকন ছেলেটি তোফায়েল ভাই এর পায়ের উপর সেজদার মত পরে আদবের কায়দায় ছালাম জানালেন। তখন তোফায়েল আহমেদ তার পাসে থাকা একজনকে জিঞ্জেস করলেন মজনু ও যেন কে? তখন প্রতিউত্তরে মজনু মোল্লাহ বললেন, ও আমাদের নজরুল স্যারের ছেলে জ্যাকব। আন কমন নতুন নামটি প্রথম শুনে আমি রাতে বাড়ি ফেরার পরেও আনমনে বারবার জ্যাকব নামটি উচ্চারণ করতে লাগলাম। এর জন্য মা’র একবার বকাও খেয়েছি। এবার মূল কথায় আসি, ৯১ এর সংসদ নির্বাচনের পরেও যাকে দক্ষিণ বাংলার প্রাণ পুরুষ ভোলা আওয়ামীলীগের অভিভাবক চিনতেন না তার দয়ায় কয়েক দিনের ব্যাবধানে তিনি নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীও হয়েছেন। মা আ শা আল্লাহ কামিয়েছেনও বেশ। তিনিতো এরকম আচরণই করবেন এটাইতো স্বাভাবিক। একটু চরফ্যশনে ফিরে যাই চরফ্যাশন আওয়ামীরীগের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন আব্দুল আলী মাস্টার যে মানুষটি ১টাকা টিকেট কেটে আওয়ামীলীগে যোগদেয়া তার বাবা নজরুল ইসলামকে অধ্যক্ষ বানালেন এমনকি এমপি ও বানালেন তার ছেলেকে এবার নৌকা প্রতিক পাওয়ার পরেও পরাজিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান পার্থী মোস্তাফিজ।ছোট বেলায় পড়েছি অকৃতজ্ঞ আর কৃতঘ্নের সংজ্ঞা। আজ ভোলার টেন্ডারবাজির দ্বন্দে এসে মিলাতে পারলাম এই শব্দ গুলো কেন পন্ডিত ব্যাক্তিরা বানিয়েছিলেন। রাজনীতির সংজ্ঞায় যাহাই পড়ুক না কেন এ ধরনের লোকরা সাময়িক সময় ভালো থাকলেও বেশিদিন মানুষের মনে থাকবেন না। আজ ক্ষমতার কারণে চরফ্যশনের সুবিদাভোগীরা হাতেতালি দিলেও তারাই স্বল্প সময়ের ব্যাবধানে আপনি জ্যাকবের বিরুদ্ধেই রুখে দাড়াবে। এটাই সময়ের শিক্ষা।

SHARE