শিক্ষাক্ষেত্রের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ

 

 

।। তাইফুর সরোয়ার।।   

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘ ১১ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলতে যাচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে। দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমে আসা এবং ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ৩৮ পৃষ্ঠার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছ, যেখানে প্রতিষ্ঠান খোলার পর সপ্তাহে ৫/৬ দিন এসএসসি ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষার্থীদের ক্লাশ এবং সপ্তাহে একদিন করে অন্যান্য শ্রেণির ক্লাশ, খোলার দুই মাস পর পরীক্ষা গ্রহণ, সুরক্ষা সামগ্রী ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করন সহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা হয়। প্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষা ক্ষেত্রের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠাই হবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

করোনার বন্ধের এই সময়টাতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই লেখাপড়া থেকে দূরে রয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় বেড়েছে বাল্য বিয়ে ও শিশু শ্রমিকের হার। স্কুল খুললেও এদের অনেকেই আর স্কুলমুখী হবে না। দীর্ঘ দিন লেখা পড়া থেকে দূরে থাকায় অনেক শিক্ষার্থীকেই লেখাপড়ার স্বাভাবিক গতিতে আসতে একটু বেগ পেতে হবে। তাছাড়া অটো পাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী ক্লাশে উত্তীর্ণ হলেও তাদের পূর্ববতী ক্লাশের সিলেবাসের বিশাল অংশই অপাঠ্য রয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সঠিকভাবে মানতে পারবে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

করোনা ভাইরাসের কারনে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিশাল ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষেকে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী ও সামাজিক দুরত্বের নিশ্চিত করতে হবে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে তাদের আলাদা শিক্ষা দান করতে হবে। আর এই সব কিছু বাস্তবায়নে সরকারকে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষনা সহ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।

 

 

SHARE