মানবতার ফেরীওয়ালা ভোলার ইউএনও কামাল হোসেন ঘর দিলেন সেই ভিক্ষুককে

আকতারুল ইসলাম আকাশঃ
ভোলার মানবতার ফেরীওয়ালা সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কামাল হোসেন। এবারের রোয়নোসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে মানুষটিকে সবার আগে ঘটনা স্থলে পাওয়া যায়। এছাড়া দুর্যোগে ঘর হারা মানুষকে মাথা গোজার ঠাই করে দেয়া একমাত্র কর্মকর্তা ভোলার সদর ইউএনও। বাল্যবিবাহ নারি নির্যাতন সহ যে মানুষটি নিরোলস কাজ করে যাচ্ছেন ভোলার শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নসহ দারিদ্র দুরিকরণে। এবার তিনি ঘর করে দিলেন ভোলার গ্রামের অসহায় বিক্ষুককে।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আলোচিত সেই দুলাল ভিক্ষুককে সরকারি ঘর দিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) মো. কামাল হোসেন এবং তাঁর সাথে সাথে ভিক্ষুক দুলালকে একটি দোকান ঘরও করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আকিজ কোম্পানির ভোলা জেলার কর্মকর্তারা।

শনিবার সকালে আকিজ কোম্পানির ভোলা জেলার চার কর্মকর্তা ভিক্ষুক দুলালের বাড়িতে এসে সরকারি ঘরের পাশাপাশি তাকে একটি দোকান ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

কোম্পানির চার কর্মকর্তা জানান, ভিক্ষুক দুলালের সংবাদটি পেয়ে রোজার মধ্যে আমরা এই বাড়িতে এসেছি। আমাদের কোম্পানি চেয়েছে একটি ঘর করে দিবে৷ এখন যেহেতু সরকারি ঘর পেয়েছে তাই আমরা তাকে একটি আয়ের পথের হিসাব করে একটি দোকান ঘর করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

দৈনিক ভোলা নিউজের সাংবাদিক মো. আকতারুল ইসলাম আকাশ, দৈনিক ভোলা নিউজ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ” আজও ঘর পায়নি ভোলার সেই ভিক্ষুক দুলাল ” এই শিরোনামে সচিত্র সহ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি তরুণ ওই সাংবাদিক তাঁর ফেসবুকে সংবাদটি আপলোড দেন। সংবাদ আপলোড দেওয়ার পরপর মহুর্তে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পায়। অবশেষে ওই সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হয় সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ( ইউএনও) মো. কামালের।

সংবাদ পেয়ে তিনি রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মো. মিজানুর রহমান মিজান ও স্থানীয় মেম্বার মো. মিলনকে সাথে নিয়ে ভিক্ষুক দুলালের পরিবারকে দেখে তাঁদের সাথে আলাপ আলোচনা করে স্থানীয় মেম্বার মিলনকে একটি কমিটি করার নির্দেশ দেন। সেই কমিটির নির্দেশ মোতাবেক রবিবার ( ৩০) জুন ঘরের মালামাল এনে ঘর তৈরীর কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিকে ইউএনও এমন মানবিক উদারতা দেখে স্থানীয় মানুষের মুখে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। তাঁর এমন মানবিক উদারতা মানবতাকে বহু দূরে এগিয়ে নিবে বলে আশ্বাস স্থানীয়দের।

রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মো. মিজানুর রহমান মিজান ও স্থানীয় মেম্বার মো. মিলন বলেন, ভিক্ষুক দুলালকে আমরা সবসময় সাহায্য করার চেষ্টা করবো। তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সুনজর থাকবে। এই ঘরের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন ভাতা দিয়েও তাকে সাহায্য করা হবে।

এদিকে ঘর পেয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন ভিক্ষুক দুলালের পরিবার। রবিবার ঘরের কার্যক্রম দেখতে দুলালের বাড়িতে গেলে সাংবাদিকদেরকে দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলেন, আপনাদের সাংবাদিকদের কারনেই আমার পরিবার বেঁচে থাকার স্বপ্ন পেয়েছেন।

SHARE