ভোলায় রাজাপুর স্কুলের জমি প্রভাবশালীদের আওতায়!

নিজস্ব প্রতিবেদক :ভোলানিউজ.কম,

ভোলা সদর উপজেলার ১নং রাজাপুর ইউনিয়নে রাজাপুর ল্যাবরেটরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠের একাংশ জমি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালীর চক্র। এঘটনায় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ অভিবাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজমান।

এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইয়েদ আলী স্কুলের জমি উদ্ধারের জন্য ভোলা ইলিশা পুলিশ ফাড়িঁতে বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, রাজাপুর ইউনিয়নে রাজাপুর ল্যাবরেটরী বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার সময় জমি স্কুলের নামে ক্রয় করা হয়েছে। এরপর থেকে স্কুলটি জমির উপর অবকাঠামো ও খেলার মাঠ স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় হানিফ মিঝির ছেলে জসিম মিঝি ও গিয়াস উদ্দিন মিঝি বিদ্যালয়ের একাংশে ৪০/৫০টি গাছের চাড়া এবং জসিম মিঝির নের্তত্বে ঘর নির্মাণ করেছে বলে জানাযায়। এসময় তাদেরকে বারবার বাধা নিষেধ করেও স্কুল কতৃপক্ষ কোন ফল পাচ্ছেনা।

স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঐ অঞ্চলের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুল মাঠের জায়গা দখল করে নেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা স্কুল মাঠে খেলাধুলা করতে পারছেনা। অপর দিকে দখলদারদের উতপাতের কারনে মেয়েরাও স্কুল মাঠে খোলামেলা চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছে দ্রুত সময়ের মাঝে স্কুলের জমি দখল উদ্ধারের জন্য জোর দাবী জানিছে।

রাজাপুর ল্যাবরেটরী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমির হোসাইন বলেন, আমাদের স্কুলের জমি এভাবে জোর পুর্বক দখল করে নেওয়ায় আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্কুলের জমি উদ্ধারের জন্য থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছি।

এব্যাপারে ভোলা ইলিশা পুলিশ ফড়িঁর তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মোক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।  আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি এবং শুক্রবার বিকাল ৪টায় উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে একটি সুষ্ঠ সমাধান করার চিন্তাধারা নিয়েছি । তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে, এঘটনায় জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে নেয়া আমাদের সকলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

(আল-আমিন এম তাওহীদ,১৮এপ্রিল,১৮ইং)

SHARE