ভোলায় ভূমিদস্যুতার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জসিম মজগুনি

————
আমজাদ হোসেন!
ভূমিদস্যু চক্ররাই উল্টো ভূমিদস্যুতার অভিযোগ করেছে ভোলা সদরের ইলিশা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন মজগুনি বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলনে ইলিশা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জসিম উদ্দিন মজগুনি বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় ভূমিদস্যু জাকির,পলাশ গংরা তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে ভূমি দখল ও চাঁদাবাজির যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
প্রকৃত পক্ষে জাকির পলাশ গংরা বহু পূর্ব থেকেই তাদের সহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষের ভূমি জোর পূর্ব দখল করে আছেন। ঐসব নিরীহ মানুষদের পক্ষ নিয়ে ভূমিদস্যুদের থেকে জমি উদ্ধারের চেষ্টা করায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে তার পিতা আবুয়াল হোসেন মজগুনি জাকির গংদের পিতা মহিউদ্দিনের কাছে গুপ্তমুন্সি মৌজার ৫টি খতিয়ান থেকে ৪ একর ২৩ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রয় করেন। কিন্তু এই জাকির গংরা জোড়পূর্বক তাদের ৫ একর ২৫ শতাংশ সম্পত্তি দখল করে নেয়। এরমধ্যে এস.এ ৭৭৮ খতিয়ানে ৪৮ শতাংশ সম্পত্তির স্থলে ১একর সম্পত্তি দখল করে। এস.এ ৪৭ খতিয়ানে ৩৮ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে ৮০ শতাংশ সম্পত্তি ভোগদখল করছে। এছাড়াও অনান্য খতিয়ানেও ক্রয়ের চেয়ে বেশি সম্পত্তি ভোগদখল করছে তারা। সংবাদে উল্লেখিত এস.এ ৫৬৬ নং খতিয়ানে ২৩৯১ দাগে আমরা ক্রয়সূত্রে ৭৩ শতাংশ সম্পত্তির মালিক। তারা আমাদের সম্পত্তি জোড়পূর্বক ভোগদখলের চেষ্টা করলে আমি তাতে বধা দেই। স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠকে আমাদের পাওনা জমি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে জাকির গংরা সে শালিস না মেনে ভোলা সদর থানায় অভিযোগ করে। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে শালিস এখনো চলমান আছে। এ অবস্থায় আমার প্রতিপক্ষের ইন্দোনে মিথ্যা তথ্যদিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আমায় সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে ঐ ভূমিদস্যু চক্র। আমি তাদের মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গুপ্তমুন্সি এলাকার হোসেন পন্ডিত বলেন, গুপ্তমুন্সি মৌজার এস.এ ৩৭৩ খতিয়ানের ১৬০ শতাংশ ,এস.এ ৩৬৫ খতিয়ানের ৬০ শতাংশ এবং এস.এ ৩১৭ খতিয়ানের ১৫৭ শতাংশ এই জাকির গংরা জোড়পূর্বক দখল করে নিয়েছে। উক্ত জমি উদ্ধারের জন্য জাকির গংদের বিরুদ্ধে তিনি বাদী হয়ে দেওয়ানী ৩৭২/১৯ মোকদ্দমা দায়ের করেছে যা এখনো চলমান আছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জালাল আহম্মদ পন্ডিত বলেন, গুপ্তমুন্সি মৌজার তার এস.এ ৩৭৩ খতিয়ানের ২৮ শতাংশ সম্পত্তি এই জাকির গংরা দখল করেছে। একই এলাকার রফিউদ্দিন জানান, গুপ্তমুন্সি মৌজায় তাদের এস.এ ১১৭ খতিয়ানের ১৬ শতাংশ সম্পত্তি ও এই জাকির গংরা দখল করে রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ব্যক্তিগন জানান, আর্থিক এবং পেশীশক্তি না থাকায় তারা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারছেন না। তাই তারা তাদের জমি ফিরে পেতে সংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেছেন।

SHARE