ভোলার চটকিমারার মানুষের দুর্ভোগ,দেড়গুণ ভাড়ায় পাড়াপাড় হচ্ছে খেয়া

 

মনজু ইসলাম।।  ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চর চটকিমারায় কয়েক হাজার নারী পুরুষের বসবাস।প্রায় নব্বই দশক থেকেই চটকিমারা চরে বসবাসের উপযোগী হয়ে ওঠে।চটকিমারায় মানুষের বসবাসের উপযোগী হয়ে ওঠার পর থেকে বর্তমানে চরে হাজার হাজার মানুষের বসবাস।

চরের মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে জননেতা তোফায়েল আহমেদ (এমপি’র) দেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,পাকা রাস্তা ও বিদ্যুৎ আয়নের মাধ্যমে সুন্দর একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে চর চটকিমারা।বিচ্ছিন্ন চর চটকিমারা ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৭নাম্বার ওয়ার্ডে নিয়েই গঠিত।

মানুষের দুর্দশার কথা চিন্তা করে ২০২০ সালে ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে তৎকালীন চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মাস্টার ৮টি টলারের মাধ্যমে খেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। দশজন করে যাত্রী পারাপার ও ৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণও করেন চেয়ারম্যান।

এভাবে কিছুদিন চলাচল করলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের চোখের নজরে পড়ে চটকিমারা ঘাট।প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে চটকিমারা খেয়াঘাট নিয়ন্ত্রিত ।২০২১ সালে প্রভাবশালীদের একটি মহল চেয়ারম্যানের অজান্তেই খেয়া পাড়াপাড়ের ডাক নিয়ে আসেন। এরপর থেকে ২টি টলারের মাধমে মানুষ অতিরিক্ত ভাড়ায় পাড়াপাড় হচ্ছেন।

ভেদুরিয়ার সাথে চটকিমারার যোগাযোগব্যবস্থা অন্যতম মাধ্যম খেওয়া। এই খেওয়ার মাধ্যমে স্থানীয় মানুষ সহ শ্রীপুর এলাকার মানুষও যাতায়াতে করে থাকেন।পাশাপাশি স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছেলেমেয়েরাও খেওয়া পাড় হয়ে শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিচ্ছিন্ন চটকিমারা বাসীর যোগাযোগের মাধ্যম খেয়া’র নৌকা হওয়ায় নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া এবং খারাপ আচরণের অভিযোগ উঠেছে ওঠে।
সরজমিনে গিয়ে খেয়া পারাপারের যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানাজায় , প্রতি বছর ইজারা হয় কিন্তু ইজারার নিয়মনীতি কিছুই মানেন না খেয়ামাঝিরা। মহিলা এবং অসুস্থ্য যাত্রীদের নামার সময় ভালো মানের সিঁড়ি ব্যবহার করার কথা থাকলেও ব্যবহার করছেন না মাঝিরা।

অন্যদিকে রাত ৮ টার পর হইতে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করেন খেয়া মাঝিরা।

ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, ভেদুরিয়ায় কোন অন্যায়, জুলুম থাকবে না, একটি সুন্দর ভেদুরিয়া গড়বো। ভেদুরিয়ায় কোনো চাঁদাবাজের স্থান হবে না। চর চটকিমারার মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভেলুমিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ মাইনুল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি তবে খোজখবর নিয়ে দেখবো।

SHARE