ভোলার করোনা জয়ী মাহফুজুর রহমান

 

মোঃ আরিয়ান আরিফ।।

ভোলার করোনা জয়ী মাহফুজুর রহমান। এখন পুরোপুরি সুস্থ। যদিও সে ভোলা বাসিন্দা নয়।গত ২৩ মার্চ ভোলার বোরহানউদ্দিনে আসে খালার বাড়িতে বেড়াতে।লক ডাউন কারনে আর ফেরা হয়নি তার নিজ শহর ঢাকায়। তার অসুস্থকালীন সময় চিকিৎসাধীন ছিলো ভোলা সদর হাসপাতালে। তার নিজের লেখা ফেসবুক স্ট্যাটাসের লেখাগুলো তুলে ধরা হলো

ما أصاب من مصيبة الا بإذن الله…

১০ ই মে!
ইফতারের কিছু সময় পূর্বে আমার কাছে সিভিল সার্জন অফিস থেকে কল আসে। তাতে আমাকে জানানো হয় যে, আমি করোনা সাসপেক্টেড/ আমার করোনা পজিটিভ।।।
সত্যি বলতে কি, খবরটি শুনে আমি বিন্দুমাত্র চিন্তিত বা ভীত হয়ে পড়িনি। শুধুমাত্র এতটুকু চিন্তা হচ্ছিল যে, এতদিন যেখানে ছিলাম বা এখন যেখানে আছি সেখানের লোকদের কি হবে!!!

😯😳আরেকটি বিষয়, তা হলো আমার নির্বুদ্ধিতা, অসচেতনতা এবং অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে, আমার স্বার্থে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসা মানুষদেরকে সমাজ ও সমাজস্থ মানুষদের চক্ষুশূল হতে হয়েছিল।
আমি আশা করি তারা তাদের হৃদয়ের মহানুভবতা দিয়ে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।।।

এছাড়া করোনা পজিটিভিটির বিষয়টি আমার জন্য ছিল সত্যিই সুখকর। কারণ এর পূর্বে আমি কখনো কল্পনাও করতে পারতাম না যে, আমি এত এত মানুষের স্নেহ ভালোবাসা দ্বারা এমন দৃঢ়ভাবে বেষ্টিত।

বিশ্বাস করেন, এই দীর্ঘ সময়টিকে আমার কাছে মোটেও দীর্ঘ মনে হয়নি। যদিও পুরোটা সময় একটি রুমে/ওয়ার্ডে বন্দী জীবন যাপন করেছি, কিন্তু কখনও একটি মুহূর্তের জন্য আমি নিজেকে একা মনে করতে পারিনি। বরং প্রতিটি মুহূর্তেই সকলের নির্ধারণ ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি।।।
আমি ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলাম কারো সীমাহীন উৎকণ্ঠার মাঝে, ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলাম কারো কঠিন শাসনের মাঝে, ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলাম কারো বুকফাটা কান্নার মাঝে, ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলাম কারো স্নেহ-মমতা সহমত উপদেশ-পরামর্শ ও অভয়বাণীর মাঝে। এভাবে চেনা জানা এবং অচেনা অজানা অসংখ্য লোকের ভালোবাসায় প্রতিনিয়ত আন্দোলিত হয়েছি।।।

২৮ ই মে! আমি এখন মুক্ত। মুক্ত করোনা বা তার দায় থেকে। কিন্তু আমার হৃদয় এখনো বেষ্টিত অসংখ্য মানুষের ভালোবাসাতে।।।
……আর কি চাই???

পরিশেষে বলব- ইয়া রাব্বি- যারা আমার এই তমসাচ্ছন্ন মুহূর্তে তাদের ভালোবাসার মশাল দিয়ে আমাকে আলোকিত করেছেন, তাদেরকে তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আপনার ভালোবাসার আলোকে আলোকিত করুন। .আমিন।।।

SHARE