ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ছোবলে কেড়ে নিয়েছে মৎস্যচাষী কামালের স্বপ্ন

 

আমজাদ হোসেন#
সাম্প্রতিককালে সুপার সাক্লোন আম্ফানের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ঢলে ভোলা সদর উপজেলা চরসামাইয়া ইউনিয়নের মৎস চাষী কামলের চারটি মাছের ঘেরে পানি ডুকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মাছ জয়ারে ভেসে গিয়েছে। এদিকে শুধু পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় মাছ হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হননি চাষী কমাল। বন্যা ও ঢলে তার চারটি ঘেরের অবকাঠামোগতভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবমিলিয়ে মাছ চাষী কমালের মাথায় যেমন হাত তেমনি মৎস্য সংকটের আশঙ্কাও রয়েছে।

রবিবার (২৪ মে) মৎস্য চাষী কামালের ঘের সুপার সাইক্লোন আম্ফানের ক্ষত চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায় এখনো। দীর্ঘদিন ধরে ধীরে ধীরে বড় করা মাছ হারিয়ে দেশেহারা হয়ে পড়ছেন কামাল। দীর্ঘ দিন মাছ চাষ করে একজন সফল মৎস্য চাষী হিসেবে কাজ করে চলছিলেন।

কামাল জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সফল ভাবে মাছ চাষ করছি। এবছর উত্তরা ব্যাংক থেকে তিন লক্ষ টাকা, আশা সমিতি থেকে দুই লক্ষ ও গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা থেকে এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ৪টি মাছের ঘেরে ৩০ লক্ষ টাকার মাছ চাষ করি। সম্প্রতি সুপার সাইক্লোন আম্ফফানের তাণ্ডবে বন্যায় পানির স্রোতে ঘেরের পার তলিয়ে ও অভেঙ্গে গিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। এর মধ্যে একটি খামারে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার নাইলোটিকা মাছের পোনা ছিল। সব পোনাই পানিতে ভেসে গেছে। পাশাপাশি চারটি পুকুরে রুই-কাতলাসহ অন্যান্য মাছ ছিল। মাছগুলো বন্যা যখন হয়েছিল তার কিছুদিন পর পুকুর থেকে তুলে বিক্রি করার কথা ভেবেছিলাম। কারণ সবগুলোই বিক্রির উপযুক্ত হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। পানিতে ভেসে গেছে সবগুলো মাছই।

কামাল আরও জানান, সরকারের কাছে একটাই দাবি, মৎস্য অফিসের মাধ্যমে আমাদের মৎস্য চাষীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। না হলে আমি পথে বসে যাবো। ভবিষ্যতে আর মাছ চাষ করার কোন সুযোগই আমার থাকবে না।

এ ব্যাপারে মৎস্য চাষীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে উদ্যোগ নেয় জেলা মৎস্য দপ্তরের অনুরোধ জানান ক্ষতিগ্রস্ত কামাল।

SHARE