বোরহানউদ্দিনে পদ্মা মনসা আবাসনে চাঁদা না দেওয়া নির্যাতনের শিকার হন আলামীন।।

 

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি।। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ডাওরী ব্রীজ সংলগ্নে ঘরে ওঠে পদ্মা মনসা আবাসন। এই খানে যারা ভূমিহীন অসহায় তাদের জন্য এই আবাসন নির্মাণ করা হয়। এই আবাসনের সভাপতি শাহে আলম। নতুন করে আবাসনে ঘর তুলতে হলে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে ঘর তুলতে দেয়না শাহে আলম।শাহে আলমের বাসা কাচিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের হকিয়া চোরাগো বাড়ীর মৃত হকিয়া চোরার ছেলে শাহে আলম।আবাসনের সভাপতি শাহে আলম ও তার সহপাঠী আব্বাস এদের বিরুদ্ধে নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ উঠে।গোপন সূত্রে জানা যায় – পিয়ারা নামে এক মহিলা শাহে আলম থেকে ২০,০০০/ বিশ হাজার টাকা নিয়ে সুদ সহ ফেরত দেন ৮০,০০০/ আশি হাজার টাকা। আবাসনের রুমা নামে এক নারী থেকে ১৪০০০ হাজার টাকা শাহে আলম পাবে। ওই নারী টাকা দিতে না পারায় তার ছোট ভাই আলামীনকে (১৩) বাসা থেকে ধরে এনে নির্যাতন করে এবং দুই হাত বেধে রাখে। শাহে আলমের বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে কথা বলেনা। শাহে আলম- মাদক, জ্বীন ও দেহ ব্যবসা করে আবাসনে এমন তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও আবাসনের ২ টি পুকুর তার নিয়ন্ত্রণে রাখে। সকল অপকর্মের সহযোগী হিসেবে থাকে আব্বাস ও আলতাফ সর্দার । আবাসনে কেউ নতুন ঘর নিতে চাইলে তার বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। না দিলে তাকে ঘর দেওয়া হয়না।এই ব্যাপারে শাহে আলমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান- এরা আমার ভালো চায়না, আমার বিরুদ্ধে এরা ষড়যন্ত্র করছে এমনটাই বলে এরিয়ে যান।স্হানীয়রা বলেন – আমরা দেখে যাই তবে প্রতিবাদ করতে পারিনা – এর আগে অনেকেই প্রতিবাদ করে জেল হাজত পর্যন্ত খেটে এসেছে। শাহে আলম, আব্বাস ও আলতাফ সর্দার এরা রাতে জুয়ার আসর, দেহ ব্যবসা করে, তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে থানা পুলিশের ভয় দেখায় এছাড়াও ভোলা ২ আসনের এমপি মহোদয়ের কাছের লোক এমন কথা বলে পুরো আবাসনের লোকজনকে আতংকে রাখে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি। শাহে আলমকে আইনের আওতায় আনা হউক। এমনটাই বলেন স্হানীয় লোকজন।

SHARE