দৌলতখানে কলেজ ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ধর্ষণ: ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।।

তুহিন খন্দকার, ভোলা:ভোলা দৌলতখানে কলেজ ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এক বছর যাবৎ ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে কলেজ ছাত্রী। বিয়ের আশ্বাসে এতোদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও বর্তমানে ধর্ষক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।ভোলা দৌলতখান উপজেলা উত্তর জয়নগর ৪ নং ওয়ার্ডের এই ঘটনা ঘটে।”গতকাল শুক্রাবার রতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ধর্ষক রাজিবের বিরুদ্ধে দৌলতখান থানা একটি লিখিত অভিযোগ করেন।ভিকটিম কলেজ ছাত্রী জানান, উত্তর জয়নগর পরিষদ সংলগ্ন বালু ব্যবসায়ী হারুন-অর-রশিদের মেঝো ছেলে রাজিব ২০২১ সালের ২৮ নবেম্বর ওই ছাত্রী কলেজ যাওয়ার পথে রাজিব তার বোন ভিকটিমকে বাসায় যেতে বলেছে এই মিথ্যা কথা বলে বাসায় নিয়ে যায়। রাজীবের বাসায় যাওয়ার পর কাউকে বাসায় না দেখে ভিকটিম চলে যেতে চাইলে রাজিব দরজা বন্ধ করে দিয়ে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিম কলেজ ছাত্রী রাজিবের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করতে না চাইলে ধর্ষণের ভিডিও তাকে দেখায়। রাজিবের ধারন করা ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীকে দিনের পর দিন বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে রাজিবকে জানালে ধর্ষক রাজিব ভিকটিমকে তার ফাঁকা বাসায় ডেকে নিয়ে এক অপরিচিত অল্প বয়সের মৌলভী দিয়ে বিয়ে করার নাটক তৈরী করে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।বেশ কিছুদিন পর ভিক্টিম কলেজ ছাত্রীর অস্বাভাবিক চলাফেরা দেখে তার মা বিষয়টি জানতে চাইলে কলেজ ছাত্রী রাজিবের সাথে তার বিয়ে হয়েছে বলে জানান। পরে ওই বিষয়ে ভিকটিমের মা রাজিবের মাকে বাসায় ডেকে এনে পুরো ঘটনা জানালে তার ছেলে নির্দষ দাবি করেন। ওই ঘটনা জানাজানির পর থেকে ধর্ষক রাজিব পলাতক রয়েছে। ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী বর্তমানে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষকের মামা জাকির নিজেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভিকটিমের পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে। ধর্ষক রাজিব নিজেকে বাঁচাতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে ব্যবহার করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।অভিযুক্ত রাজিব মুঠো ফোনে জানান, সে ভিকটিম কলেজ ছাত্রীর সাথে কখনো কথাও বলেনি। তারা যদি কোন প্রমান করতে পারে সে দোষী তাহলে শাস্তি মাথা পেতে নিবে।এ বিষয়ে দৌলতখান থানার (ওসি) বজলার রহমান জানান, কলেজ ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে তদন্তের জন্য ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

SHARE