ছাত্রনীতি আর রাজনীতি পারবে সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে?

……লেখক আল-আমিন এম তাওহীদ, ভোলা,

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন চলবে ১১-১২ মে পযর্ন্ত । এ নেতৃত্ব হবে সারাদেশের গৌরব আর অহংকার।ছাত্র রাজনীতি একটি আদর্শ রাজনীতি, ছাত্রনেতাদের ভালবাসায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষ সিক্ত থাকবে। আবার ছাত্রনেতাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ থাকবে সারাদেশের মানুষ।চিন্তা দুটি বিষয়, ইজ্জত আর বেইজ্জত। আগলে রাখতে হবে ১৬কোটি মানুষের ভালবাসা, তাহলেই স্বার্থক আমি ছাত্রনেতা।

যারা ছাত্রনীতি করে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা রাজনীতির আইকন বা আইডল বলে ধারনা করা যায়।

ছাত্র রাজনীতি হলো অসহায় মানুষের সেবক এবং সঠিক নেতৃত্বদানকারী ।ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু মুল রাজনীতির মেরুকরণ চলে আসেন । এর মধ্যে কেউ হেলে পড়ে, আবার কেউ জেগে উঠে।

বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য নেতা আছে, কিন্তু নীতি নেই সব বিলীন, তাদের চলাফেরা আদর্শ এবং কাজে অনেক মানুষে হাসি তামাশাও করে। যখন বিষয় গুলো চোখের সামনে পড়ে তখন খুবই খারাপ লাগে।হায়রে ছাত্রনীতি?।

ছাত্র জীবন মধুর জীবন, এ ছাত্র জীবন থেকে সঠিক আদর্শ এবং মানুষের ভালবাসা নিয়ে পথচলা। আমি এমন কর্মের মধ্যে হাত দিবোনা, যে কর্মের কারনে সারা দেশের মানুষে ছিছিছি শব্দটা না আনতে পারে।
তবে যেমন একটি পরিবারের মা-বাবা থাকে, তেমন একটি ঘরেও খুটি থাকে। খুটি ভেঙ্গে গেলে ঘরটিও ভেঙ্গে পড়বে।দলের মুল উৎস ছাত্রনীতি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে এমন ছাত্রনেতা দেখতে চাই, যে ছাত্রনেতাকে সকল স্তরের মানুষ ভালবাসে এবং তার চলাফেরার নিয়ম, শিক্ষা, দীক্ষা, ভদ্রতা,সামাজিকতা, ছাত্র রাজনীতি পরিচালনায় দক্ষতা, ছাত্র সংগঠনে অপরাধী যে হবে তার বিরুদ্ধে দ্রুত সংগঠন থেকে ব্যবস্থা নেয়া, দেশের নিম্ম থেকে শুরু করে জেলায় পর্যায় ছাত্রনেতারা কে কি দিয়ে ভাত খাচ্ছে তার খোজ-খবর রাখা, কোন ছাত্রনেতায় কোন স্থানে কি করছে তা নজর রাখা, সৎ সাহসিকতা এবং নম্র ভদ্রতা সত্য ন্যায়ের পথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে মানুষের ভালবাসা রক্ষা করাই হলো ছাত্র-রাজনীতির মূল লক্ষ্য। তার পাশাপাশি দল কিভাবে মানুষের কাছে ভাল থাকে, সাধারণ মানুষ কি চাচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য রেখে পথ চললে এদেশের কোন ব্যক্তি আর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদশ্শ অন্তর থেকে কোনদিন মুছতে পারবেনা।এসকল ছাত্র-রাজনীতির নেতারা যতদিন বেঁচে থাকে, ততদিন এ সুন্দর আদর্শ মানুষে ভুলতে পারবেনা। এখন নেতৃত্ব পেয়েই যদি অপর্কমে লিপ্ত হই, এবং মানুষের উপর আঘাত করি তাহলে দলেল বদনাম হবে, নিজরে ক্ষতি হবে, মান-সম্মান নিয়ে মানুষে টানা হেচড়া করবে।

তাই বঙ্গবন্ধুর মতো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আদর্শ বুকে নিয়ে সামনের দিকে নেতৃত্ব দিবে আর ফিরে আসবে সুন্দর একটি বাংলাদেশের চিত্র। বাস্তবায়ন হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ, সুখে থাকবে এদেশের প্রতিটি জাতি। ফিরে পাবো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে দেখা সোনার বাংলা। আমি একজন ছোট রাজনীতিবীদ পারি দলের মান-সম্মান মাটির সাথে মিলিয়ে দিতে, আবার আমি পারি দলের মান-সম্মান এদেশের মানুষের হৃদয়ে রাখতে।এ নেতৃত্ব মানুষের কল্যানে, কোনো মানুষ বিপদে কিংবা অসহায় থাকলে নিজের জীবনকে বাজি রেখে পাশে দাড়ানো কে বাংলাদেশ ছাত্র রাজনীতি বলে।

আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন ছাত্র রাজনীতির হাতে তুলে দিবে ছাত্র রাজণীতির পতাকা, যা এদেশ যতদিন আছে ততদিন শান্তিপ্রিয়ও ছাত্র নেতা হিসেবে প্রতিটা জাতির কাছে বেচে থাকবে। মানুষ মারা যায়, কিন্তু স্মৃতির পাতা থেকে যায়। আমি অপর্কম করলে তার ভোগ একদিন পোহাতে হবে-জয়বাংলা……… সংগৃহীত ফেসবুক (Alamin m tawhid) আল-আমিন এম তাওহীদ, ভোলা।

(এমআই, ১১মে-২০১৮ইং)

SHARE