চরফ্যাসনে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে হত্যা।।

নাজিম উদ্দীন চরফ্যাশন প্রতিনিধি।। ভোলার চরফ্যাসনে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাতিজা মো. নুর ইসলামকে (৩৭) কুপিয়ে হত্যা করেছেন চাচা আবু তাহের গং। এ সময় নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।শুক্রবার সকালে চরফ্যাসন উপজেলার শশিভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নুর ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুর ইসলাম এওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কুট্রি ডাক্তার বাড়ির জামে মসজিদের পেশ ইমাম ছিলেন।এ ঘটনায় নিহত নুরুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে স্থানীয় শশীভূষণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার এজাহার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নুর ইসলামের বাবা আব্দুর রশিদ জমাদারের সঙ্গে তার চাচা আবু তাহের জমাদার ও আব্দুল মালেক জমাদের সাথে একটি জাল দলিলের মামলাকে ঘিরে পারিবারিক বিরোধ চলছিলো। নুরুল ইসলাম ঘটনার দিন সকালে চাচাদের সাথে তার বাবার বিরোধ মিটানোর জন্য একই বাড়ির বাসিন্দা চাচাদেরকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়িতে আলোচনায় বসে। এসময় স্ত্রী মরিয়মও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার মধ্যে চাচাদের সাথে নুরুল ইসলাম এর হঠাৎ কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চাচা আবু তাহের ও আ. মালেক ভাতিজা নুর ইসলাম এর উপর হামলা করে এ সময় ঘাতক আবু তাহের নুরুল ইসলাম এর মাথায় লোহার খোনতা দিয়ে কোপ দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় স্ত্রী মরিয়ম নুর ইসলামকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও খুনিরা বেধড়ক মারধর করে আহত করে। গুরুতর আহত নুর ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এদিন বিকেল প্রায় ৫টার দিকে সেখানে (বরিশাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুর ইসলাম। নিহত নুর ইসলাম ৪ সন্তানের জনক। এ বিষয়ে শশিভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে শনিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিদের একজন আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করেছে। অপর চাচা আবু তাহের জমাদারসহ অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE