চরফ্যাশনে মৎস্য বিভাগের নিলাম সন্ত্রাস নাটের গুরু মিজান মাঝি

 

 

চরফ্যাশন প্রতিনিধি।।  সারা দেশে ইলিশ আহরণে গত ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এ সময় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ১৩৫ জেলেকে ৭ লাখ ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ১৬ জনকে কারাদণ্ড ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৬৩ জন শিশুকে মুচলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৭৩ হাজার মিটার কারেন্ট ও সুতার জালসহ জেলেদের ব্যবহৃত ১১টি ট্রলার ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়। জানা গেছে, জব্দকৃত মালামাল উন্মুক্ত দরে নিলাম করতে হবে। যা থেকে রাজস্ব পাবে সরকার। তবে জব্দকৃত ওই নৌকা-ট্রলার জেলেদের একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কম দামে নিলাম করার অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানায়, জাহানপুর আট কপাট মৎস্যঘাট এলাকায় গত ১৬ই অক্টোবর বেলা ১১টায় ১১টি ট্রলার নিলাম ডাকা হয়। ওইদিক নিলামে বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক ক্রেতা এলেও ঘাটের জেলে মাঝিদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা নিলামে অংশ নিতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, নিলাম শুরু হওয়ার সময় আটক ট্রলারগুলোর মালিকরা ও স্থানীয় জেলেমাঝিরা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ব্যক্তিদের নিলামে অংশ নিতে দেয়নি। জেলেরা যেন তাদের আটক ট্রলারগুলো কম মূল্যে নিয়ে যেতে পারেন সে জন্য জাহানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মিজান মাঝি নামের এক ব্যক্তিকে নিলামে অংশ নেয়ার জন্য চূড়ান্ত করেন ট্রলার মালিকরা। ওই জেলে আরও বলেন, নিলামে অংশ নেয়ার জন্য মিজান মাঝিকে সবাই মিলে টাকা দেন। গত ১৬ই অক্টোবর বেলা ১১টার সময় প্রশাসন নিলাম ডাকলে মিজান মাঝিসহ নাম মাত্র ৬ ব্যক্তি নিলামে অংশ নেন। ওই মৎস্য ঘাটের জেলেরা বলেন, প্রায় ৪ লাখ টাকার ছোট ও মাঝারি ট্রলারগুলো নিলামে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে নেন মিজান মাঝি। পরে ওই ট্রলারগুলো মিজান মাঝির কাছ থেকে নিলামের মূল্য অনুযায়ী ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বেশি মূল্য দিয়ে যাদের ট্রলার তারা নিয়ে যান। জিয়াউল হক নামের এক জেলে বলেন, আমাদের ট্রলারটি প্রশাসন আটক করলেও নিলামের পরে আমাদের আড়ৎদারের মাধ্যমে মিজান মাঝির কাছ থেকে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছি। তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানায়, নিয়ম মেনে ওই ট্রলার নিলাম ডাকা হয়েছে এবং ভ্যাট ট্যাক্সসহ ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় নিলাম দেয়া হয়েছে।

SHARE