এমপি শাওনের ভল্ট ও লকারের সম্পদ জব্দ, নেতা কর্মীদের ক্ষোভ

মনজু ইসলাম/টিপু সুলতানঃ
সম্প্রতি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে আলোচনায় আসা যুবলীগের শীর্ষ নেতা নুরনবী চৌধুরী শাওনের ৭ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংকের ভল্ট বা লকারে থাকা সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল সিআইসি। এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন লালমোহনের আওয়ামীলীগ নেতারা। তার তাদের এমপিকে নির্দোষ দাবী করে তার বিরুদ্ধে অনা সকল অভিযোগ খারিজ করার জন্য সরকারের শীর্ষ নেতাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

লকার ও ব্যাংকের ভল্টে থাকা সম্পদ জব্দ করা নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নিজের ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান রয়েছে সাতটি।

এর আগেই নজরদারির মধ্যে আনা হয়েছে এ ৭ প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা সব ধরনের হিসাবকে।

এসব প্রতিষ্ঠানের যেকোনও মেয়াদি আমানত (এফডিআর ও এসটিডি), মেয়াদি সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ, ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ, এসব ব্যক্তি ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা যেকোনও ধরনের সেভিং ইনস্ট্রুমেন্ট বা ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিটকে জব্দ করার জন্য আগে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সিআইসির নতুন এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলো লকারে থাকা সম্পদ জব্দের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর বাইরে এসব ব্যক্তি ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে যেকোনো ধরনের সেভিং ইনস্ট্রুমেন্ট বা ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট থাকলে তাও জব্দ করতে বলা হয়েছে।
আর নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মেসার্স নাওয়াল কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স আয়েশা ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠান দুইটির মালিকের নাম উল্লেখ নেই। তবে উভয় প্রতিষ্ঠানের টিআইএন নম্বর-৩৬০২২৫৬৯২৪০৯। মেসার্স নাওয়াল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিদ্যা নিকেতন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রোপাইটর নুরুন্নবী চৌধুরী নিজেই।

এছাড়া নাওয়াল কনস্ট্রাকশন নামের আরও একটি প্রতিষ্ঠানের কোন ঠিকানা উল্লেখ নেই, তবে টিআইএন নম্বর দেওয়া আছে ১৫৯৪৪১৬৩৮৯৬৫।

মেসার্স ফারজানা বুটিকের প্রোপাইটর ফারজানা চৌধুরী এবং মেসার্স ইনটিশার ফিশারিজ ও মেসার্স ডিজিটাল টেকের প্রোপাইটরের জায়গায় নুরুন্নবীর চৌধুরীর নাম উল্লেখ রয়েছে। ব্যাংকারেরা জানিয়েছেন, এসব প্রতিষ্ঠান নুরুন্নবী চৌধুরী ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবেও সিআইসি জানিয়েছেন।
এদিকে ভোলার আসহায় তজুমুদ্দিন উপজেলাকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা এমপি শাওনের ব্যাংক একাউন্ড জব্দ ও তাদের লকারে থাকা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ঘোষনায় লালমোহন তজুমুদ্দিনের আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা চরম ক্ষোভ ও হতাশা ব্যাক্ত করেন। তজুমুদ্দিন ও লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, ছাত্রজীবন থেকে রাজ পথের এই লড়াকু নেতা জন্মগত ভাবেই বনেদি পরিবারের সন্তান। ছোট বেলা থেকেই রাজনিতির পাসাপাসি ভিবিন্ন ব্যাবসায়ের সাথে জড়িত ছিলেন তাদের প্রিয় এ নেতা। নিয়মিত আয়কর পরিষোধের পরেও কেন তার ব্যাক হিসেব জব্দ করা হলো তা নিয়ে চরম ক্ষোভ না কাটতেই আবার তার ও তার পরিবারের ভোল্ট ও লকারের সম্পদ জব্দ করায় হতাশা ও ক্ষোভ জানিয়ে দ্রুত তার এসব ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেয়ার দাবীও জানান আওযামীলীগ নেতা কর্মীরা

SHARE