ইন্দিরা গান্ধীকেও ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়ার পথে শেখ হাসিনা

অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,

বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বে এক সমাদৃত নাম। তার সামনে অপেক্ষা করছে ইন্দিরা গান্ধী, মার্গারেট থ্যাচার, চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার মতো বিশ্বের নারী সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের ছাড়িয়ে শীর্ষে যাওয়ার হাতছানি। তৃতীয়বারের মতো শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে তিনি হবেন বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘমেয়াদি নারী সরকার প্রধান।

একাধারে বিশ্বে টানা ক্ষমতায় থাকা নারী সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের তালিকায় শীর্ষে আছেন সেন্ট লুসিয়ার গভর্নর জেনারেল ডেম পারলেত লুইজি। যিনি ২০ বছর ১০৫ দিন দেশ পরিচালনা করেছেন। দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদের নারী সরকার রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন আইসল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভেইদিস ভিনগোদির ১৬ বছর। তৃতীয় দীর্ঘমেয়াদে থাকা নারীনেত্রী ডেম ইউজেনিন ১৪ বছর ৩২৮ দিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৩ বছর ৩৬৪ দিন আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন মেরি ম্যাকলিস। ব্রিটিশ লৌহমানবী মার্গারেট থ্যাচার ১১ বছর ২০৮ দিন দায়িত্বে ছিলেন।

যদিও থ্যাচারের চেয়ে অল্প কিছুদিন কম টানা দায়িত্বে থাকলেও দুই মেয়াদে ইন্দিরা গান্ধী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে এগিয়ে। দুই মেয়াদে ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় ছিলেন ১৫ বছরের কিছু বেশি। অন্যদিকে দুই মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ বছর সরকার প্রধানে দায়িত্ব পালন করেছেন। এটা নারী নেতৃত্বে তৃতীয় দীর্ঘ সময়। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাও দুই পদে ১১ বছর ৭ দিন দায়িত্বে ছিলেন। যদিও চন্দ্রিকা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাত্র ৮৫ দিন।

এসব তথ্য বিবেচনায় বর্তমান বিশ্বে এখনো দায়িত্বে থাকা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বে উল্লেখযোগ্য নারী সরকার প্রধানদের মধ্যে দীর্ঘদিন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের দায়িত্ব পালন করে বিশ্বে আলোচিত ৪ জন নারী। এরা হলেন- ইন্দিরা গান্ধী, মার্গারেট থ্যাচার, অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং শেখ হাসিনা। এসব নারী প্রধানরা প্রত্যেকেই তার দেশকে দিয়েছে নতুন দর্শন, নতুন সম্ভাবনা। এদের মধ্যে শুধু মেরকেল এবং শেখ হাসিনা এখনো দায়িত্ব পালন করছেন।

ফলে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলে শেখ হাসিনা ইন্দিরা গান্ধী, থ্যাচারের মতো মহান নারী নেতাদের পাশে নিজের নাম স্থাপন করে বিশ্ব বরেণ্য হবেন। যা পুরো বাঙালি জাতির জন্য গর্বের।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১৮জুলাই-২০১৮ই)

SHARE