ইন্টারনেট ও কলরেট বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্ধ গ্রাহক

 

মোঃ আশরাফুল আলম
সরকারের একটি বড় চ্যালেন্জ হচ্ছে বাংলাদেশকে ডিজিটালাইজ্ড করে ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবা পৌছে দেয়া । কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর আরেক দফা কর বাড়িয়ে সমালোচনার মুখে পরেছে সরকার এবং এতে ক্ষুব্ধ গ্রাহক । গত বছরের ন্যায় এ বছর বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সরকারের এ কর আরোপ না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এ্যাডভোকেট তারানা হালিম। নতুন মূল্য সংযোজন কর ( VAT) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ। ফলে মোট কর দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অতএব, প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকারের কাছে কর হিসেবে যাবে ২৫ টাকার মত। এতদিন যা ছিল ২২ টাকার মতো।এদিকে, বাজেট ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকেই গ্রাহককে মোবাইল সেবায় খরচ করতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। শুধু ফোনে কথা বলাতে নয়, করের এই প্রভাব পড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারেও। গত কয়েক বছরে ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন ব্যবসায় যারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে আসছিলেন মোবাইল কলের এ বাড়তি হার, তাদের জন্য এখন হুমকিসরূপ। কর আরোপের পর তারানা হালিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেন, গ্রাহকদের ওপর ইন্টারনেট ও কলরেট বৃদ্ধির বোঝা। আরো লেখেন, আমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন কলরেট বৃদ্ধি সহ গ্রাহকদের উপর চাপ পরে এমন কোন কিছুর সাথে একমত হইনি কারণ মোবাইল ও ইন্টারনেট -এর ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য voice ও data এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষকে আরো উৎসাহিত করার পূর্বশর্ত সাশ্রয়ী মূল্য।বিশেষ করে student দের জন্য। তাই বর্তমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার-এর প্রতি বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ জানান তিনি। কারণ বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির যুগ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ খাতটি যথেষ্ট ভুমিকা রাখতে পারে।

SHARE