আন্দোলনরতদের উদ্দেশ্য করে আগুন জ্বালানো কে এই আলামিন তাওহীদ?

ডেস্ক: সংবাদ, ভোলানিউজ.কম,

কিছু না লিখে পারলাম না।হায়রে মানবতা, হায়রে সন্তান। হে মানুষ আপনাদের এজগতে কবে হবে হুশ?।

কোন পথে চলছি আমরা? নিজের দেশকে ধ্বংশ করতে পারলেই কি আমরা সফল?। আমার সোনার বাংলা আমি আমি তোমায় ভালবাসি!!!!। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশকে ভালবাসি?।

বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ, এদেশের সকল হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান কাধেঁ কাধ মিলিয়ে চলাফেরা করছি।
অনেক বিদেশীরা আমাদেরকে চোখের আড়াঁলেও দেখতে পারেনা,কারন নিজেদের কর্ম রেখে অন্য মানুষের মাথায় তেল দিচ্ছি। আমরা নিজেদের কর্ম রেখে কোন কিছু হলেই আন্দোলন সভা সমাবেশ, হরতাল, অবরোধ, ভাংচুর অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ করছি।দেশের অর্থনৈতিককে ধ্বংশ করছি, সামাজিক জীবন যাত্রার মানকে ধ্বংশ করছি। বাংলাদেশ আজ থাকতো একটি সম্পাদশালী দেশ। কিন্তু আমরা সমাজের কিছু মানুষ রয়েছি তারা মানুষের পিছনে পিছনে ঘুরে ঘুরে সময় নষ্ট করছি। নিজের কর্মসংস্থান তৈরি না করে যত আকাম-কুকাম আছে সে গুলোর পিছনে সময় পারছি। নিজের ঘরের ভাত নেই, অন্যের ঘরে ভাত আছে কি না তা নিয়ে চিন্তায় আমরা মগ্ন।
যে মানুষটি দেশপ্রেমিক সে কখনো দেশের ক্ষতি চায়না, যারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে, তারা কখনোই দেশ ও মানুষকে ভালবাসতে পারেনা।একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক এর সঠিক চিন্তাধারা- যেখানে অরাজকতা কিংবা কোন বিপদ আসে সেখানে দ্রুত সমাধান করা, কোন মানুষ বিপদে পড়লে সাহায্য করা, কেউ অসুস্থ হলে তাকে সেবা করার জন্য সহযোগিতা করা, যেখানে অন্যায় সেখানে প্রতিবাদ করা, যে সকল মানুষ গুলো দেশের ক্ষতি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলা, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে প্রতিষ্ঠিত করা,কিভাবে দেশ উন্নত হবে সেদিকে লক্ষ্য রাখা, দেশের মানুষকে বিপদে না ফেলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদকে রক্ষা করা, গরিব অসহায় মানুষের সহযোগিতা করা, সত্য বিচারের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করা, কারো ক্ষতি না করা, রাষ্ট্রের যেসকল আইন রয়েছে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা করা, রাষ্ট্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রতি সম্মান রাখা, রাষ্ট্র যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে পথচলা, যে কাজের বিনিময় মানুষের চলাফেরার আঘাত ঘটে সেসব বিষয়কে এরিয়ে চলা।
বর্তমান আমরা দেশপ্রেমিক আমাদের বৈশিষ্ট্য এখন এভাবে চলছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করা, আন্দোলন করে গাড়ি বাড়ি ভাংচুর করা, রাতে আধাঁরে ইয়াবার আসর বসানো,টাস জুয়ায় মগ্ন থাকা, কার ক্ষতি কোন সময় করবো চিন্তা করা, রাষ্ট্রীয় সম্পদগুলোকে বিনষ্ট করা, অর্থনৈতিককে বিনষ্ট করা, নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা না করে অন্যের পিছনে সময় নষ্ট করা রাতের বেলায় ডাকাতি করা, কোথায় আন্দোলন সমাবেশ হলে যানবাহন ভাংচুর করি, গাজাঁ মদ নিয়ে চিন্তা করি, দেশের আইনকে অমান্য করে চলা, কার সম্পদ কে জোরপূর্বক খেতে পারে চিন্তা করি, মানুষ মানুষের ক্ষতি করি,রাস্তা থেকে কোন সুন্দরি মেয়ে হেটেঁ যায় তার পিছনে পিছনে ঘুরে সময় নষ্ট করি। কে মাস্তান নেতা তার কাছে গিয়ে সারাদিন বসে থাকি , একরাতে চুরি কিংবা ডাকাতি না করতে পেরে ঘুমকে হারাম করি। কাউকে হত্যা করে কিভাবে অর্থ সম্পদকে লুটপাট করা যায়, কে টাকা নিয়ে রাস্তা থেকে হেটেঁ যায় তাকে ছিনতাই করি এই হলো আমাদের বর্তমান স্বভাব আর চরিত্র। আমরা চিল্লাই আমরা দেশেপ্রেমিক।দেশের ভিতরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে তারপর দুর থেকে চেয়ে দেখি আগুন কেমন করে জ্বলে।
পরিশেষে, আমরা আজ মানুষ নামে কলংক হয়ে গেছি, দেশকে ভালবাসা তো দুরের কথা দেশকে ধ্বংশ করার চিন্তা নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি। আজ সারাদেশে ভাংচুর হয়েছে এটা আমাদের লাভ না ক্ষতি হয়েছে?। কাদের সম্পদ ধ্বংশ করেছি?। আজ আন্দোলনের ৮দিন এই আট দিনে কত কোটি টাকা আমাদের নষ্ট হয়েছে? আমরা কি সকল দিক বিবেচনা করেছি?।নিজের দেশকে ধ্বংশ করে আন্দোলন করছি এই আন্দোলনের মূল্য কি হবে?। হ্যা অবশ্যই আমাদের দাবি প্রয়োজন অন্যায়ের প্রতিবাদ গড়ে তুলবো, কিন্তু সেই অন্যায়ের প্রতিবাদটি কি গাড়ি ভাংচুর করা? বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ দেয়া, মানুষকে হত্যা? রাস্তাঘাট অবরোধ করা? মানুষের জীবনযাত্রার মানকে ধ্বংশ করা?। এরকমের আন্দোলন করলে দেশ আগামি ৫বছরে ধ্বংশ হয়ে যাবে। আমরা জানি বাংলাদেশে অনেক জনসংখ্যা সেই তুলনায় আমাদের সম্পদ বাসস্থান নেই। আমাদের উচিৎ কিভাবে নিজেদের স্থান বসবাসের জন্য সুন্দর করে সাজাঁনো।
আমরা বাঙ্গালী তাল আর সুরের পাগল কেউ সুর দিলেই লাফ দিয়ে চলে যাই। অন্তত একবারো চিন্তা করিনা এটায় আমার কত ক্ষতি আর কত লাভ হবে?।আমার নিজের সবকিছু ধ্বংশ হচ্চে কিনা তা চিন্তা করিনা।
অপরাধ করতে করতে বাঙ্গালীদের বিবেক বুদ্ধি সব ধ্বংশ হওয়ার কারনেই আজও আমরা গরিব দেশ হিসেবে চিহ্নত আছি। আমাদের বাংলাদেশের চেয়ে বিশ্বে আরো অনেক ছোট দেশ আছে তারা গরিব নেই, তাদের সকল কিছুতে ভরপুর। সেখানে গিয়েও বাঙ্গালীরা চাকরি করে দেশে টাকা পাঠায়। আর আমরা বাঙ্গালী জাতি আজকে লজ্জিত যে আমাদের চেয়ে ছোট দেশ হয়েও তারা উন্নত এবং ধনি রাষ্ট্র। আমাদের বুদ্ধি জ্ঞান থাকা সত্বেও আমরা বাস্তবে বাস্তবায়ন করতে পারিনা। কারণ আমাদের মাথায় ভাল কিছু স্বপ্ন দেখেনা যত কিছু আমাদের আছে সব শয়তানি আর দেশকে ধ্বংশ করা চিন্তা বুদ্ধি।এসকল কারনেই আমরা পিছিয়ে আছি, আমরা যতকক্ষনে ভাল কিছু দেশের জন্য স্বপ্ন দেখবো না,ততক্ষনে আমরা উন্নত ধনি হতে পারবোনা।অাজ বিদেশে তাকান আমাদের মতো এতো সভা সমাবেশ আন্দোলন আছে কি না?। বিদেশে এরকমের বাংলাদেশের মতো পাগলামি আর খারাপ কাজ নেই বিধায় তারা শান্ত দেশ।
আপনাদের মাথায় যত খারাপ বুদ্ধি থাকবে তত বিপদে পড়বেন এবং দেশ ধ্বংশ হবে।
ভাল দেশ গড়তে হলে আন্দোলন করে দেশের সম্পদ নষ্ট করা বন্ধ করুণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন। তবে সেই আন্দোলনটি হতে হবে কোন মানুষ কিংবা কোন যানবাহনের ক্ষতি না হয়।১৬কোটি মানুষের চলাফেরা বন্ধ করে আন্দোলন করলে দেশ এমনিতেই ধ্বংশ হবে। ভাল কিছু স্বপ্ন দেখুন, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখুন। কারো ক্ষতি করার চিন্তা বাদ দিন, দেশের মানুষ আমরাই গর্বিত স্বাধীন বাংলাদেশ অামার অহংকার। আমার দেশ সবচেয়ে উন্নত, এদেশে কোন হরতাল আন্দোলন নেই। আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলি এটাই থাকুক আমাদের অঙ্গিকার।সকল খারাপ কাজ থেথে আমরা বিরত থাকবো,অসত্য কাজ থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে আনবো এটাই প্রতিজ্ঞা হবে সবচেয়ে বড়। আমাদের জীবনকে ফুলের মতো সাজিঁয়ে তুলি, মধু পোকাঁ বাগানে এসে গুন গুন গান আওয়াজ তুলবে।

লেখাটুকু তার ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহ… https://web.facebook.com/alamin.tawhid?hc_ref=ARQSayPJOwtro7uOSnTTcAuvY00TuoGQWC84xlTL8Ei91QRWK5hgPkI8lyUUEe-3hA8&fref=nf

(ভোলানিউজ, ৫আগস্ট-২০১৮ই)

SHARE